ফেসবুকে তৃণমূল বিরোধী পোষ্টকে ঘিরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ফের জড়াল রোহিত পাশির নাম।
গত ৪ মে নিজের ফেসবুক দেওয়ালে মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী সাংসদদের ছবি দিয়ে ‘হাম সব চোর হ্যায়’ বলে লেখা একটি ছবি পোষ্ট করেন রোহিত। সেই পোষ্টটিতেই মন্তব্য করেন মালবাজারের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সুরজিত দেবনাথ। সুরজিত লেখেন, ‘‘একটাও মাটিতে মারবে না সব পিঠে পরবে। ১৯ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন সিপিএমের দালালেরা।’’ এরপরই তাঁর উপর আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই ফেসবুক পোষ্টে সুরজিতের মন্তব্যের কথা জানিয়ে মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোহিত।
অন্যদিকে, সুরজিতকে রাস্তায় একা পেয়ে তাকেও পাল্টা হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে রোহিতের বিরুদ্ধে। পেশায় সবজি বিক্রেতা সুরজিতকে ১৯ মের পর মালবাজারের দৈনিক বাজারে দোকান করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রোহিতের বিরুদ্ধে।
তবে রোহিত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘১৯ মে ফল ঘোষণা হলেই তৃণমূল নেতা কর্মীরা আমাকে মারবেন বলে নানা মহল থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম, তৃণমূলের ছাত্র নেতা ফেসবুকেই সেটা লিখে দেওয়ায় আরও একবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল।’’ অভিযুক্ত সুরজিত মালবাজারের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকরী সভাপতি এবং মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজ ইউনিটের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমি কোথাও কোনও মারধরের কথা উল্লেখ করিনি। ফেসবুকে আমি যা বলেছি এর থেকেও কদর্য আক্রমণ অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু তার জন্যে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে ছোটেন না। কেন রোহিত অভিযোগ করলেন এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, রোহিত প্রচারের আলোয় থাকতে চান। হঠাৎ বিখ্যাত হয়ে গিয়ে আবার যাতে ওকে সবাই ভুলে না যায় তার জন্যে কিছু না কিছু ওকে করে যেতেই হবে। সে কারণেই এই অভিযোগ করে প্রচারে থাকার চেষ্টা।
প্রচারে থাকতে গিয়ে রোহিত মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কদর্য কুৎসিত কথাও পোষ্ট করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূলের মালবাজার টাউন সভাপতি মানসকান্তি সরকার। তিনি বলেন, ‘‘রোহিত প্রতিদিন কুরুচিকর পোষ্ট করে চলেছেন। তাই বলে ১৯ তারিখ আমরা ওকে মারধর করব এরকম অভিযোগ মিথ্যা।’’
রোহিতের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম। সিপিএম এর মালবাজারের লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা রোহিতের প্রতিবেশী পার্থ দাস বলেন, ‘‘পাড়ার সকলে রোহিতের পাশে আছে। ফলাফল যাই হোক সেটা সকলকেই মানতে হবে। ফলাফলের পর শান্তি বিঘ্নিত করার হুমকি মালবাজারের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা বিরোধী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy