Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

লোডশেডিংয়ে নাকাল ভুতনি

প্রায় এক মাস আগের কথা। গত ১৮ ও ১৯ জুন, টানা দু’দিন মানিকচকের ভুতনি এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিল। জেনারেটর না থাকায় প্রথম দিন ইনভার্টারে প্রায় আট ঘণ্টা আলো ছিল ভুতনি হাসপাতালে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জয়ন্ত সেন
ভুতনি (মালদহ) শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

বিদ্যুৎ নেই। কিন্তু তা বলে প্রসূতিকে তো ফেলে রাখা যায় না। মোমবাতি জ্বালিয়েই প্রসব করিয়েছেন ভুতনির স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারেরা।

উত্তর চণ্ডীপুরের যোগীটোলার মালা মণ্ডল ও তার পরের দিন দক্ষিণ চণ্ডীপুরের ১ নম্বর কলোনির টুম্পা মণ্ডল তাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভুতনির মানুষের বক্তব্য, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন এমনই স্বাভাবিক। রোটেশন পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক থাকার পর থেকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন ভুতনির মানুষের কাছে বড় সম্পদ। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা মিটছে না।

প্রায় এক মাস আগের কথা। গত ১৮ ও ১৯ জুন, টানা দু’দিন মানিকচকের ভুতনি এলাকা বিদ্যুৎহীন ছিল। জেনারেটর না থাকায় প্রথম দিন ইনভার্টারে প্রায় আট ঘণ্টা আলো ছিল ভুতনি হাসপাতালে। তারপরই ডুবে যায় অন্ধকারে। সে সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রসূতি ও গর্ভবতী মহিলাদের গরমে দফারফা অবস্থা। ওই পরিস্থিতিতে লেবার রুমে মোমবাতি জ্বালিয়েই প্রসব করানো হয়।

কিন্তু বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যায় শুধু হাসপাতালই নয়, গোটা ভুতনি চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাই ভুক্তভোগী। প্রতিদিনই ঘনঘন লোডশেডিং ও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই লো-ভোল্টেজের সমস্যায় তাঁরা নাজেহাল। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে জানানো হলেও কাজ হয়নি।

রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনা, সবার ঘরে আলো প্রভৃতি নানা প্রকল্পে কয়েক দশক পর এখন গঙ্গা, ফুলহর ও কোশী—এই তিন নদী দিয়ে ঘেরা ভুতনি চরে শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ঠিকই। কিন্তু বেহাল রাস্তার মতো লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের সমস্যা ভূতনিকে গ্রাস করে রেখেছে।

গয়াঠাকুর কলোনির প্রেমকুমার মণ্ডল বা বাল্লিটোলার বিশ্বজিৎ মণ্ডলরা বলেন, দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন-চার ঘন্টা পর পর শুরু হয় লোডশেডিং। এখন বৃষ্টি শুরু হতে লোডশেডিংয়ের বহর আরও বেড়ে গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Load shedding Electric Power Cut ভুতনি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE