Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ফানুস উৎসবে প্রচুর আতসবাজি নিয়ে প্রশ্ন 

ফানুস উৎসবে শব্দবাজি ফাটানো হয়নি কিন্তু প্রচুর আতসবাজি পোড়ানো হয়। তাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে মত পরিবেশকর্মীদের।

দূষণ: আতসবাজির ধোঁয়ায় ঢেকেছে আলিপুরদুয়ার শহরের রাস্তা। ছবি: নারায়ণ দে।

দূষণ: আতসবাজির ধোঁয়ায় ঢেকেছে আলিপুরদুয়ার শহরের রাস্তা। ছবি: নারায়ণ দে।

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪০
Share: Save:

রবিবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত সামান্য কম। কিন্তু সোমবারও সন্ধ্যা হতে না হতেই আলিপুরদুয়ারে দেদারে শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। আর এই দিনই শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফানুস উৎসবের আয়োজন করে বিতর্কে জড়ালেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। অভিযোগ, সেই ফানুস উৎসবে শব্দবাজি ফাটানো হয়নি কিন্তু প্রচুর আতসবাজি পোড়ানো হয়। তাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে মত পরিবেশকর্মীদের।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী রবিবার রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত আতসবাজি পোড়ানোতে ছাড় ছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই শব্দবাজির দাপট শুরু হয় আলিপুরদুয়ার জেলার বেশিরভাগ জায়গায়। শব্দবাজির দাপট ঠেকাতে বেশিরভাগ জায়গাতেই পুলিশের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের অনেকের। পরিবেশকর্মীদের কথায়, শুধু শব্দবাজির দাপটই নয়। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক হারে বায়ু দুষণও হয়। যে দুষণের মাত্রা মাপতে কাউকে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের।

শহরবাসীর কথায়, রবিবার কালীপুজোর পর অন্তত সোমবার শব্দবাজির দাপট খানিকটা কমবে বলেই আশা ছিল তাদের। কিন্তু অভিযোগ, রবিবারের থেকে অপেক্ষাকৃত সামান্য কম হলেও, সোমবার সন্ধ্যা হতে না হতেই শহরের বেশ কিছু এলাকায় দেদার শব্দবাজি ফাটতে দেখা গিয়েছে। শহরতলি থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় শব্দবাজি ফাটার মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল বলে অভিযোগ।

এ দিন শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভবাবু। অভিযোগ, সেখানে ব্যাপকহারে আতসবাজি পোড়ান হয়। তাই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

আলিপুরদুয়ারের পরিবেশকর্মী অমল দত্তের অভিযোগ, ‘‘এটা অন্যায়। আলিপুরদুয়ারে রবিবার ও সোমবার দুদিনই শব্দবাজির দাপট ও বায়ু দূষণে নাজেহাল বাসিন্দারা। সেখানে দাঁড়িয়ে বিধায়কের উচিত সবাইকে সঠিক পথ দেখান। কিন্তু এদিন তা দেখা গেল না।’’ বিধায়কের অবশ্য দাবি, ‘‘এ দিন শুধু ফানুস উৎসবের আয়োজন করা হয়। আতসবাজি পোড়ানো হয়নি। তা ছাড়া পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে।’’

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘শব্দবাজি নিয়ে কোনও অভিযোগ এলেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ দিন প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানকে দীপাবলির সঙ্গে মেলালে চলবে না। যত দূর জানি, ওটা আলাদা ভাবে করা হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy