জাল টাকা চালানোর চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত! মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক উত্তমকুমার সাহু ওই নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, সাজাপ্রাপ্তকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম গোলাম রব্বানি। তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার পালইবাড়ি এলাকা।
সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী বাপ্পা সাহা বলেন, ‘‘আমার মক্কেলকে বিনা দোষে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁকে কেউ জাল টাকা দিয়ে প্রতারিত করেছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।’’
সরকারি আইনজীবী স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, প্রায় নয় বছর ধরে আদালতে মামলা চলার পর পুলিশ, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শী মিলিয়ে ১২ জন সাক্ষী ও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গোলাম রব্বানি দোষী প্রমাণিত হয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, ২০০৬ সালের ১৮ অগাস্ট গোলাম রব্বানি ইটাহার থানার চৌরাস্তা এলাকার একটি মুদিখানা দোকানে গিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী কেনার পর ওই দোকানের কর্মচারীকে দাম বাবদ একটি এক হাজার টাকার নোট দেয়। কিন্তু খুচরো না থাকায় ওই দোকানের কর্মচারী ওই নোটটি নিয়ে পাশের একটি মুদিখানা দোকানে খুচরো করতে যান। সেই সময় সাধন কুন্ডু নামে স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী ওই নোটটি দেখে জাল বলে সন্দেহ করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা এরপর পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে গোলাম রব্বানিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আদালতের নির্দেশে এরপর প্রায় তিন মাস সে জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায়। মামলা চলাকালীন মধ্যপ্রদেশের ভুপালপুরের কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তারা আদালতে গিয়ে ওই এক হাজার টাকাটি জাল বলে শনাক্ত করে সাক্ষ্য দেন। এদিন গোলাম রব্বানিকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে।
স্বরূপবাবু বলেন, ‘‘মালদহের কালিয়াচকের একটি জাল টাকার কারবারের চক্রের সঙ্গে গোলাম রব্বানির যোগাযোগ ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy