Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা, প্রচার-প্রস্তুতি-প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন
Government center to buy rice

কেন্দ্রে বসে মাছি তাড়ানোই সার, এলেন না কৃষক

জলপাইগুড়ি জেলায় গত বছর প্রায় ৭৫ হাজার কৃষক ধান বিক্রি করেছিলেন। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে। এই কৃষকেরা এ বার ‘অনলাইন’ মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদন করতে পারেন।

ধান কেনা শুরু হলেও দেখা নেই কৃষকদের, জলপাইগুড়ির খারিজা বেরুবাড়ী এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অপেক্ষায় আধিকারিকেরা।

ধান কেনা শুরু হলেও দেখা নেই কৃষকদের, জলপাইগুড়ির খারিজা বেরুবাড়ী এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অপেক্ষায় আধিকারিকেরা। ছবি - সন্দীপ পাল

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৫
Share: Save:

বেলা গড়িয়ে গেলেও ধান বিক্রি করতে এলেন না কেউ। বুধবার থেকে সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে কৃষকদের জন্য। তবে জেলার কোনও ব্লকের কোনও কেন্দ্রেই কৃষকদের দেখা মেলেনি। সূত্রের খবর, ধান বিক্রি করতে চাওয়ার আবেদনটুকুও কার্যত করেননি কেউ।

খাদ্য দফতরের দাবি, ধান এখনও মাঠেই রয়েছে। যদিও কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, ধান কিনতে কৃষকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেনি খাদ্য দফতর। দাবি, প্রথম থেকে কৃষকদের রেজিস্ট্রেশন এবং ধান বিক্রির আবেদন করিয়ে রাখলে দালাল-ফড়ে আটকানো সহজ হত। জেলার একাধিক ধান ক্রয় কেন্দ্রের সঙ্গে চালকলকে যুক্ত করা হয়নি। কৃষকেরা ধান নিয়ে ক্রয় কেন্দ্রে এলে, চালকলের প্রতিনিধিরা ওজন করে ধান কেনেন। তবে কোন কেন্দ্র থেকে কোন চালকল কিনবে, তা না জানানোয় বুধবার কোনও কৃষক ধান নিয়ে এলেও কেনা সম্ভব হত না।

জলপাইগুড়ি জেলায় গত বছর প্রায় ৭৫ হাজার কৃষক ধান বিক্রি করেছিলেন। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে। এই কৃষকেরা এ বার ‘অনলাইন’ মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদনের ক্রমানুসারে ধান নিয়ে আসার সময় দেওয়া হয়। কৃষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, এই কাজ প্রশাসন আগেই করিয়ে নিলে কালোবাজারি বন্ধ করা যেত। জেলা খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াঙ্গেল লামা বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে ধান কেনার প্রচার করা হয়েছে। কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এখনও কোনও কৃষক ধান বিক্রির আবেদন করেননি। জেলার বেশির ভাগ মাঠে ধান কাটা শুরুই হয়নি।’’

বিরোধী কৃষক সংগঠনগুলি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র বলেন, ‘‘ক্রয় কেন্দ্র খুলে রেখেছে। অথচ। কৃষকেরা যাতে ধান নিয়ে যান, তার প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি। কৃষকদের তথ্য তো প্রশাসনের কাছেই রয়েছে। কে। কবে ধান কাটবেন, তা সহজেই জেনে নেওয়া যেত!’’

বিজেপির কিসান মোর্চার সভাপতি নকুল দাস বলেন, ‘‘আদতে কালোবাজারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত বার যাঁদের রেজিস্ট্রেশন করা ছিল, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।’’ তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘‘কালোবাজারি রুখতেই কৃষকদের থেকে ধান কেনার এই ভাবনা রাজ্য সরকারের।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy