বাগডোগরা বিমান বন্দর। —ফাইল চিত্র।
প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা খরচে শিলান্যাসের অনুষ্ঠান ঠিক করেও, পরে তা বাতিল করতে হয়েছে। লোকসভা ভোটের মরসুমে থমকেছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের কাজ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এআইআই) তরফে বছরের শুরুতে ঠিক হয়েছিল, গত মার্চে কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেই হিসাবে টেন্ডারও হয়। পরে ঠিক হয়, গত ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাওয়াখালির সভার আগে সরকারি কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন করবেন। সে তালিকায় প্রথমে থেকেও পরে বাদ হয়ে যায় বাগডোগরা। তাতে কাজ আর পুরোদমে শুরু হয়নি।
আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে জুনে ভোট মিটলে, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই শিলান্যাস হতে পারে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা মহম্মদ আরিফকে ফোনে পাওয়া যায়নি। মেসেজ করা হলেও তিনি কিছু জানাননি। তবে এএআই আঞ্চলিক দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিলান্যাসের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক তো বটেই, সময়েরও কিছু বিষয় ছিল। প্রধানমন্ত্রী বাগডোগরায় এসে শিলান্যাস করবেন বলে ঠিক হয়। পরে, তা স্থগিত হয়। আপাতত ভোটের পরেই কাজ পুরোদমে শুরু এবং শিলান্যাসের বিষয়টি থাকছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ভেবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এএআই শিলান্যাসের অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় ৩৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার টেন্ডার করেছিল। সেখানে ডোম আকৃতির টেন্ট, মঞ্চ, বিরাট ঘেরা এলাকার ব্যবস্থা, কেটারিং-সহ যাবতীয় কিছু বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর সভা, অনুষ্ঠানস্থল তৈরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাকে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে, তা স্থগিত হওয়ায় ভোটের মরসুমে আপাতত কিছু হচ্ছে না।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের প্রথম দফার কাজ ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। এই দফায় ৯৫০ কোটি টাকায় নতুন টার্মিনাল-সহ একাধিক পরিকাঠামোর কাজ শুরু হয়েছে। আড়াই বছরের মধ্যে যা শেষ হওয়ার পরে, বিমানবন্দরে ঘিরে নতুন অতিথি নিবাস,
পার্কিং সিস্টেম, একাধিক লিজের হোটেল-সহ নানা পরিকাঠামোর কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy