কালজানির জলে বানভাসি মশালডাঙা। জল উঠেছে পোয়াতুরকুঠি, বাত্রীগছেও। তবু স্বাধীনতা দিবসে পালনে পিছিয়ে থাকতে চান না সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ছোট ছোট জাতীয় পতাকায় রঙিন হয়েছে গ্রাম। যে মাঠে পতাকা উত্তোলন করা হবে জল নামতেই তা পরিস্কারে হাত লাগিয়েছে জয়নাল, সাদ্দাম, কবীররা। কিনে আনা হয়েছে বড় বড় পতাকা। দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। ওঁদের কথায়, “দুঃখ, কষ্ট, দুর্যোগ তো থাকবেই। তাই বলে স্বাধীনতা দিবস পালনে খামতি রাখব না। এই দিনের কাছে সব কিছু হার মেনে যায়।”
দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি ক্যাম্পেও পালন করা হবে স্বাধীনতা দিবস। দু’বছর আগে ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময় হয়। তার আগে থেকেই ছিটমহলগুলিতে স্বাধীনতা দিবস পালন করতেন বাসিন্দারা। ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পরে তাঁদের সেই আনন্দ বেড়েছে অনেক গুণ। পতাকা উত্তোলন করে মিষ্টি মুখ, কেউ কেউ আবির খেলাতেও মেতে ওঠেন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, “এ বারেও পতাকা উত্তোলনের পরে গ্রামের সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হবে। আমরা সবাই নিজেরা কিছু কিছু করে টাকা দিয়ে ওই আয়োজন করেছি।” পতাকা উত্তোলন করবেন গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা নওসের আলি। তাঁর কথায়, “এই দিনটির জন্য আমরা এক বছর অপেক্ষা করি।”
রবিবার বিকেল থেকেই জল নামতে শুরু করে। সোমবার রোদের দেখা মিলতেই হাসি ফোটে বাসিন্দাদের মুখে।
কয়েক জন বাসিন্দার কথায়, “এমন চলতে থাকলে কী করে স্বাধীনতা দিবস পালন হতো তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম আমরা।” পোয়াতুরকুঠির বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমরা প্রতি বছর পতাকা উত্তোলন করি। এ বারেও তার হেরফের হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy