—প্রতীকী চিত্র।
যোগ্য-অযোগ্য বাছাই নিয়ে আলোচনার মাঝেই জলপাইগুড়ির সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইল শিক্ষা দফতর। আগামী সোমবারের মধ্যে জেলার সব শিক্ষকদের এই তথ্য জমা দিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)। ওই নির্দেশিকায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনটি মামলার উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ মে হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ‘ডিজিটাল’ তথ্যভান্ডার তৈরির জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এ সব নথি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের এসএসসি-র সুপারিশ, নিয়োগপত্র, চাকরির অনুমোদনপত্রের প্রতিলিপি (হার্ড কপি) জমা দিতে হবে। অনলাইনে জমা দিতে হবে নিয়োগের ‘মেমো’, নিয়োগের তারিখ-সহ এ সংক্রান্ত অন্য সব তথ্য। যদি সেই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও মামলা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে মামলার নথির কপিও জমা দিতে বলা হয়েছে। এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগ হয়নি যে শিক্ষকদের, তাঁদের স্কুলের পরিচালন সমিতির অনুমোদন এবং প্যানেলের প্রতিলিপি জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘যোগ্য-অযোগ্য’ বাছাই চলছে রাজ্যে। তা শুধু ২০১৬ সালের প্যানেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে শিক্ষা দফতরের নির্দেশে জেলার সব কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ-তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তিনি যে বছরেই চাকরি পান না কেন, সবাইকে তথ্য দিতে হবে। যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘নিয়োগের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সবই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দফতরে রয়েছে। তার পরেও কেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে এ সব তথ্য চাওয়া হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট নয়। এমন অনেকে চাকরি করছেন যাঁদের ত্রিশ বছর আগে নিয়োগ হয়েছে, সে সময় এসএসসি ছিল না। তাঁর নিয়োগের প্যানেল তিনি কোথায় খুঁজে পাবেন? আমরা শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি।”
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, নথি জোগাড় করে দিতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা এমন রয়েছেন, যাঁরা উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ অথবা উল্টো পথে দীর্ঘদিন চাকরির পরে বদলি হয়েছেন। তাঁরা এখন নিয়োগ নথি বা অনুমোদন নিতে ফের স্কুলে আসতে হবে, যেটাকে ‘ভোগান্তি’ বলে দাবি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেরই। তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।”
জলপাইগুড়ির জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, “হাই কোর্টের নির্দেশেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy