প্রস্তুতি: পুজোকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার। মঙ্গলবার দিনহাটা থানায়। নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নির্দেশ মেনে দিনহাটার বিভিন্ন পুজো কমিটি পুজো মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে দিল। মঙ্গলবার, সকালে এমনই দৃশ্য দেখা গেল দিনহাটা শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। পাশাপাশি, পুজো দেখতে বেরনো দর্শনার্থীরা যাতে মণ্ডপ নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকেন, সেই জায়গাও চিহ্নিত করে দেওয়া হল।
শহরের শহিদ কর্নার দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকে পুজো মণ্ডপের সামনে সকালেই ‘নোএন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেডও সম্পূর্ণ। মণ্ডপের সামনে দর্শনার্থীরা যাতে কোনও ভাবেই ভিড় জমাতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সাদা রংদিয়ে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছিল।
পুজো কমিটির সদস্য আনন্দ কর্মকার বলেন, ‘‘করোনা আবহে একদিকে আদালতের নির্দেশ অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করছি আমরা। যাতে দর্শনার্থীরা দূর থেকে পুজো মণ্ডপ ও মূর্তি দর্শন করতে পারেন তার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পুজোর কয়েক দিন করোনাভাইরাস নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচারও চালাবেন তাঁরা। দিনহাটা কলেজ পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পক্ষ থেকেও একইভাবে পুজো মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি’ ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য বিশু ধর বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সমস্ত গাইডলাইন মেনে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’’ দিনহাটার গোসানি রোড সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজোর এ বছর ৫৩তম বর্ষ। নাটমন্দিরের আদলে খোলামেলা পুজো মণ্ডপ তৈরি করছেন উদ্যোক্তারা।
আদালতের নির্দেশ ও সরকারি গাইডলাইন মেনেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান। তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘‘সরকারি বিধিনিষেধ মেনে দিনহাটার বিভিন্ন পুজো কমিটি আগে থেকেই খোলামেলা পুজোমণ্ডপ তৈরি করেছে। অনেক মণ্ডপের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ দিন তাই মহামান্য আদালতের নির্দেশ মেনে মণ্ডপের সামনে বিধিব্যবস্থা করছেন সবাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy