ফাইল চিত্র
হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই অবস্থায় অষ্টমীর অঞ্জলিতেও এবার আসছে 'ভার্চুয়াল' প্রথা। সবাই যাতে বাড়িতে বসেই অঞ্জলি দিতে পারেন, সেজন্য পাড়ার মোড়ে মোড়ে মাইক বাঁধতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বেশ কিছু পুজোয়। কোথাও আবার প্রযুক্ত বা সোশ্যাল মিডিয়ারও সাহায্য নিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজোয় হাইকোর্টের রায় কার্যকর করতেও দুই জেলার প্রশাসনের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তৎপরতা।
করোনা পরিস্থিতিতে পুজো নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে দুই জেলার উদ্যোক্তাদের অনেকেই ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে পুজো থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সবকিছু দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সেই সূত্রেই অঞ্জলিতেও এ বার আসছে ভার্চুয়াল প্রথা। কোচবিহারের বড়দেবী বাড়ির বাইরে বসানো হচ্ছে জায়েন্ট স্ক্রিন। এছাড়াও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ঘরে বসেই বড়দেবীর পুজোয় অঞ্জলি দিতে পারবেন কোচবিহারের বাসিন্দারা।
আলিপুরদুয়ার শহরের উপল মুখর ক্লাব ও লোহারপুল ইউনিটের মতো একাধিক ক্লাব পাড়ার মোড়ে মোড়ে মাইক বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে করে মাইকে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বাড়ি বসেই সকলে অঞ্জলি দিতে পারেন। আলিপুরদুয়ার শহরের বাবুপাড়া ক্লাব আবার অঞ্জলির পর যতটা সম্ভব বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফুল-বেলপাতা সংগ্রহ করে মণ্ডপে দুর্গার পায়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোচবিহারের শান্তিকুটির ক্লাব কিংবা ফালাকাটার দুর্গাবাড়ি বা মশলাপট্টিও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অঞ্জলির ব্যবস্থা নিয়েছে।
বুধবার হাইকোর্ট আগের রায়ের খুব বেশি পরিবর্তন না করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানতে দুই জেলার প্রশাসনের অন্দরেও তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড় এড়াতে কোচবিহারের সর্বত্র ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ থাকবে। কোথাও ভিড় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক রাজেশ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ যাতে পালন করা হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মণ্ডপে ভিড় এড়াতে উদ্যোগী দুই জেলার বেশ কিছু পুজো কমিটিও। আলিপুরদুয়ার বাবুপাড়া ক্লাবের সম্পাদক অভিষেক কর্মকার বলেন, “ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় সামলাতে পাড়ার সিনিয়ররাও স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নেবেন।”
কোচবিহার নিউটাউন সর্বজনীনের সম্পাদক অভিষেক সিংহরায় বলেন, “মানুষ যাতে বাড়িতে বসেই পুজো দেখতে পারেন, সেজন্য আমাদের ভ্রাম্যমান মণ্ডপ এবার রাস্তায় ঘুরবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy