প্রতীকী ছবি
ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দুর্ব্যবহার, হুমকি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে আটকে রাখার অভিযোগে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসকের নাম নিলয় পাট্টাদার। ৪৩ বছর বয়সী নিলয়ের বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার পূর্ব আখানগরে। তিনি ইটাহারের দুর্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার দুপুরে নিলয়ের স্ত্রী দেবশ্রী ঘোষ উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রাকেশ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, তদন্তে ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
দেবশ্রীর দাবি, সরকারি নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে নিলয় ইটাহারের বৈদড়া চেকপোস্ট এলাকায় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ করছিলেন। আচমকা তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তিনি ফোন করে ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সে কথা জানান। কিন্তু ওই আধিকারিক বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিয়ে নিলয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। নিলয় সেখান থেকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলিশ দিয়ে তাঁর গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও হুমকি দেন। এর পরে নিলয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর গাড়ির চালক তাঁকে গাড়িতে উঠিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রওনা হন।
অভিযোগ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে পুলিশ ইটাহারের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় নিলয়ের গাড়ি আটকে তাঁকে তাঁর দফতরে আসতে বাধ্য করেন। সেখানেও ওই আধিকারিক নিলয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও তাঁকে কটুক্তি করেন। চালকের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে দেবশ্রী ও তাঁর ভাসুর মানস ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে যান।
দেবশ্রীর কথায়, ‘‘সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্বামীকে ইটাহার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে ওঁর কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না দেখে রায়গঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাই। কিন্তু আমার স্বামীকে না ছেড়ে দুঘণ্টা সেখানে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। পরে জোর করে স্বামীকে রায়গঞ্জের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy