Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
TMC

লালবাতিতে রাজীবের না সোনাকে

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের জেলা সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পরে অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাটের নেতা দেবাশিস মজুমদার ও হরিরামপুরের নেতা সোনা পালকে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নীহার বিশ্বাস
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০৭:০৮
Share: Save:

‘‘দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি এক জনই’’— বৃহস্পতিবার বুনিয়াদপুরে দলীয় বৈঠকে এসে স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, সোনা পালকে লালবাতি লাগানো গাড়িতে জেলায় ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করতে কড়া ভাষায় সতর্ক করেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের জেলা সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পরে অর্পিতা ঘোষ বালুরঘাটের নেতা দেবাশিস মজুমদার ও হরিরামপুরের নেতা সোনা পালকে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেন। কিছু দিন আগে কলকাতায় দলের সাংগঠনিক বৈঠকে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যকরী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।

তার পরেই জেলা তৃণমূলে কত জন কার্যকরী সভাপতি, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। দলের অন্দরমহলের খবর, দলনেত্রী গৌতমের নাম ঘোষণা করলেও, দেবা ও সোনা নিজেদের কার্যকরী সভাপতি হিসেবেই পরিচয় দিয়ে চলেছিলেন। তাতেই দলের নিচুতলায় ধন্দ ছড়ায়।

এ দিন সেই ধন্দ মিটিয়ে রাজীব বলেন, ‘‘গৌতম দাসই কার্যকরী সভাপতি। অন্য কেউ নন।’’ দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, এ ভাবেই এ দিন সোনা ও দেবার ক্ষমতা খর্ব করা হল।

দেবা, সোনা ছাড়াও দলের কয়েক জন নেতা বাতি লাগানো গাড়ি চড়ে ঘোরাঘুরি করছেন বলে সভায় ক্ষোভ উগরে দেন রাজীব। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা পরিষদের ‘মেন্টর’ নিযুক্ত হওয়ার পরে সোনা লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করে নিচুতলার কর্মীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন বলে তৃণমূলের উপরমহলে খবর গিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলের কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ জমছে। তা দ্রুত না মেটালে নির্বাচনে সমস্যা হতে পারে বলে এ দিন নেতাদের কড়া ভাষায় সতর্ক করেন রাজীব। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘‘সোনাকে উনি বলেছেন, আপনি শুধু জেলা পরিষদের মেন্টর। বাইরে লালবাতি নিয়ে ঘুরবেন না। গাড়ি থেকে মেন্টর লেখা বোর্ড খুলুন।’’ ওই নেতা জানান, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুরের পুরপ্রধানদের ব্যবহার আরও ভাল করার পরামর্শ দিয়েছেন রাজীব। মন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ‘‘দলকে সামনে রেখে নিজের আখের গোছানো যাবে না। দলকে কালিমালিপ্ত করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়ের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল সোনার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার উল্লেখ করে ঝামেলা মিটিয়ে নিয়ে মধুমিতাকেও দলে শামিল করার নির্দেশ রাজীব দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।

সোনাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। গৌতম বলেন, ‘‘আমাকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করেছেন। সেটাই আজ ফের বলা হল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Politics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy