প্রতীকী ছবি।
একসপ্তাহ ধরে এক প্রসূতিকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবি জানানো হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই প্রসূতিকে ছাড়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগে ওই প্রসূতির পরিবারের লোকেদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই প্রসূতিকে ছুটি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই প্রসূতির নাম মুনমুন সেন চৌধুরী। রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুনমুন রায়গঞ্জ পুরসভার কংগ্রেসের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান প্রয়াত মিলন চৌধুরীর পুত্রবধূ।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিকিৎসক, নার্স ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’ হাসপাতালের এক আধিকারিকের পাল্টা দাবি, পারিবারিক কোনও কারণে মারধরের জেরে ওই প্রসূতি জখম ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পুলিশে মামলাও দায়ের হয়েছিল। তাই পুলিশের অনুমতি ছাড়া ওই প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিবারকে পুলিশের কাছ থেকে ছুটি দেওয়ার পরামর্শ লিখিত ভাবে নিয়ে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা সঠিক সময়ে দিতে না পারায় ওই প্রসূতিকে ছুটি দিতে সাময়িক দেরি হয়।
মুনমুনের স্বামী দেবাংশুর দাবি, ২৯ অক্টোবর এক আত্মীয়ের মারধরের জেরে মুনমুন জখম ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসক ও নার্সরা জানান আমার স্ত্রীয়ের পেটে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকে ওর রক্তপাতের সমস্যা বেড়ে চলেছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকে একসপ্তাহ ধরে চিকিৎসক ও নার্সরা মুনমুন ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়েক দিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মুনমুনকে ছুটি দেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছিল না। দেবাংশুর দাবি, পুলিশকে ঘটনার কথা জানানোর পরে এ দিন মুনমুনকে ছুটি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy