ফাইল চিত্র।
চা শিল্প বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দাবি করল কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যানটেশন অ্যাসোসিয়েশন (সিসিপিএ)।
চা বাগান মালিকদের সংগঠনগুলির ওই যৌথ সংস্থার কর্তাদের দাবি, শেষ পাঁচ বছরে চায়ের দাম কার্যত বাড়েনি। অথচ ২০১৮ সালেই শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। তাই চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে শিল্প। দাম বাড়াতে চায়ের গুণগত মানের ন্যূনতম মাপকাঠিরও দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে বৈঠক করে দাবিগুলি তুলেছেন সিসিপিএ কর্তারা।
এ দিনের বৈঠকে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারপার্সন নয়নতারা পাল চৌধুরী, ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা, টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য, তেরাই ইন্ডিয়ান প্ল্যানটার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র বনশল উপস্থিত ছিলেন। চায়ের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত উৎপাদন, বেআইনিভাবে নেপালের চায়ের ব্যবহার, মাথাপিছু চায়ের ব্যবহার কমতে থাকা-সহ নানা কারণকে দায়ী করেছেন সিসিপিএ কর্তারা। অতিরিক্ত সরবরাহের সমতা ফেরাতে রফতানি ব্যবসায় নীতিগত পরিবর্তন আনা জরুরি বলেও মনে করছেন তাঁরা।
অন্য শিল্পের মত চায়ের ক্ষেত্রেও রফতানি শুল্কে ছাড় দেওয়া, ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদানের দাবিও তুলেছেন অরিজিৎ। মালিকদের উপর চাপ কমাতে বাগানের নতুন শ্রমিক বা অন্য কর্মীদের প্রথম তিন বছরের পিএফে মালিকের অংশিদারিত্বের দায়িত্ব যাতে সরকার নেয় তার দাবিও তুলেছেন তিনি। আর্থিক সঙ্কটের কারণে বাগানের শ্রমিকদের পুজোর বোনাস দেওয়া নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মহেন্দ্র বনশল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছি। বোনাস কীভাবে হবে, কতটা দিতে পারব, আদৌ পারব কি না সেটা বলা যাচ্ছে না।’’ সিসিপিএ কর্তারা এ দিন চা নিয়ে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বোনাস নিয়ে সিসিপিএ কর্তার বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরামের নেতারা। ফোরামের নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতি বছরই বোনাসের আগে মালিকরা সঙ্কটের কথা শোনান। সাময়িকভাবে তাঁদের সমস্যা থাকতে পারে। তবে অন্য বছরের মতোই নিয়ম মেনে বোনাস দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy