নজরদারিতে রয়েছে ৬৫টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। সেগুলির বেশির ভাগই রয়েছে মালদহ মেডিক্যালের ইন্ডোর, আউটডোর ও প্রশাসনিক ভবনে। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে ক্যামেরার সংখ্যা হাতেগোনা। ওই দিয়ে পুরো হাসপাতাল চত্বর নজরদারি সম্ভব নয়। দিনে একাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকলেও রাত আটটার পর হাসপাতাল চত্বর কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয় বলে অভিযোগ। সেই সুযোগেই একের পর এক ঘটে চলেছে রোগীর পরিজনদের মারধর করে টাকা-মোবাইল লুঠ।
শনিবার ভোরে এক রোগিনীর স্বামীকে মারধর করে টাকা লুঠের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা হাসপাতালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। আগামী ৮ তারিখ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক রয়েছে এবং সে দিন আলোচনার মূল প্রতিপাদ্যই হাসপাতালের নিরাপত্তা। ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘‘শনিবার রাত থেকেই টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।’’
হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরের সব এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো যায়নি। রাতে কে কোন দিক দিয়ে ঢুকে পড়ছে তা নজর রাখা মুশকিল। ফলে আমরা হাসপাতালেই একটি পুলিশ ফাঁড়ি করার প্রস্তাব দিয়েছি। রাতে পুলিশি টহলদারিও বাড়াতেও বলা হয়েছে।’’
যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ইংরেজবাজার থানায় পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী নেই। ফলে তড়িঘড়ি ফাঁড়ি চালু করায় সমস্যা রয়েছে। জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।’’
স্ত্রীর দেখভাল করতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের চাঁদগঞ্জের বাসিন্দা গোপীনাথ সরকার ক’দিন ধরে হাসপাতালেই রয়েছেন। পেশায় ক্ষুদ্র কৃষক গোপীনাথবাবু ওই চত্বরেই ঘুমোতেন। অভিযোগ, শনিবার ভোরে তিনি যখন অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন একদল দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে টাকা লুঠ করে। সেই ঘটনায় পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর আগেও এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy