পঞ্চায়েত সদস্যের দেহ উদ্ধারের পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ। ইনসেটে, জগৎ পাল বরাইক। নিজস্ব চিত্র
কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হল মেটেলি থানার নিখোঁজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের মৃতদেহ। রবিবার সকালে। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। সেই অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এক জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মেটেলি ব্লকের ইনডং হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য, নাগেশ্বরী চা বাগানের গোপাল লাইনের বাসিন্দা জগৎ পাল বরাইক (৪৭) বৃহস্পতিবার ওই বাগানের রোটিখানা লাইনে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। শনিবার তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা চিক বরাইক মেটেলি থানাতে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে নাগেশ্বরী চা বাগানের বিয়েবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি করা হয়। ওই সময়েই পরিত্যক্ত, ভগ্নপ্রায় একটি কুয়োয় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে সুভাষ চিক বড়াইক মেটেলি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য।
এ দিন মেটেলিতে তদন্তে যান জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া, মালবাজারের এসডিপিও রবিন থাপা। নিয়ে আসা হয় স্নিফার ডগ। অপহরণ করে থুন, তথ্য লোপাটের মতো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মেটেলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক জোশেফ মুন্ডা বলেন, ‘‘ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে রেওয়াত করার প্রশ্ন নেই।’’ জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ অবশ্য ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন। তবে তিনিও বলেন, ‘‘দলের কেউ জড়িত থাকলেও আইন নিজের পথে চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy