দাবি, দেশে যত আবাসন বিক্রি হয় এখনও তার বেশির ভাগ কম দামি। অথচ এগুলির বিক্রিই কমছে। —প্রতীকী চিত্র।
আবাসন শিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে সাধ্যের আবাসনের (অ্যাফর্ডেবল হাউসিং) একাধিক নিয়ম বদলের আবেদন জানাল নির্মাণ সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাই। যার মধ্যে রয়েছে, সংস্থার কর কমানো ও ক্রেতাদের কর ছাড় পাওয়ার সুবিধা বাড়ানো। এখন ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের ফ্ল্যাট-বাড়িগুলি এই শ্রেণিতে পড়ে। দামের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে সাধ্যের
সংজ্ঞা বদলের সুপারিশও করা হয়েছে।
বাজেটের জন্য দাবিদাওয়া পেশ করতে গিয়ে ক্রেডাইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি বোমান ইরানি জানান, সাধ্যের আবাসন প্রকল্পে নির্মাতাদের আয়কর কমিয়ে ১৫% করা হোক। ২০১৭ সালে এগুলির সংজ্ঞা হিসেবে যে ৪৫ লক্ষ টাকা দামের সীমা টানা হয়েছিল, তা-ও বাড়ানো হোক। তাঁর দাবি, দেশে যত আবাসন বিক্রি হয় এখনও তার বেশির ভাগ কম দামি। অথচ এগুলির বিক্রিই কমছে। ফলে তার অভিঘাত এত তীব্র হচ্ছে শিল্পে। বিক্রিতে গতি আনতে ক্রেতাদের উৎসাহও বাড়ানো দরকার। তাই এ ক্ষেত্রে কর ছাড়ের বাড়তি সুবিধা জরুরি। ঋণের আসল ও সুদ দু’টিকেই তার আওতায় আনা হোক। ক্রেডাই সাত বছরে সাত কোটি বাড়ি তৈরির যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা পূরণ করা সাধ্যের আবাসনের চাহিদা ছাড়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন ইরানি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ‘সকলের জন্য বাড়ি’ প্রকল্পকে সফল করার জন্যও কেন্দ্রের তরফে এই সাহায্য জরুরি।’’
এর আগে আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্রাঙ্ক বলেছিল, ভারতে প্রথম সারির সাত শহরে এক কোটি টাকার বেশি দামি আবাসনের বিক্রি ২০১৮-র তুলনায় প্রায় ৩০০ গুণ বেড়েছে। মোট বিক্রিতে এর অংশীদারি ৪৪ শতাংশের বেশি। কলকাতা-সহ সাত শহরেই শেষ পাঁচ বছরে এই ধরনের বিলাসবহুল আবাসন বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে। বুধবার আর এক উপদেষ্টা সিবিআরই জানাল, সাত শহরে ৪ কোটি টাকার বেশি দামের আবাসন ২০২৪-এ ৫৩% বেড়ে হয়েছে ১৯,৭০০। শীর্ষে দিল্লি। সেখানে এক বছরে এমন বাড়ির বিক্রি ৫৫০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০,৫০০। কলকাতায় ৩১০ থেকে বেড়ে ৫৩০। ডিএলএফের যুগ্ম এমডি আকাশ ওরি-র বক্তব্য, এই তথ্য প্রমাণ করে এক শ্রেণির মানুষের হাতে বিপুল টাকা আছে। যা তাঁরা দামি বাড়ি কিনতে খরচ করছেন। অন্য দিকে, আমজনতার হাতে বাড়তি পুঁজি না থাকায় কম দামির বাজারে ভাটা। অথচ আবাসন ক্ষেত্রের এগোনোর জন্য সাধ্যের আস্তানাগুলিই তুরুপের তাস। তাই আগে সেগুলির বিক্রি বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy