—ফাইল চিত্র।
দাড়িভিট-কাণ্ডকে সামনে রেখেই গত কয়েকমাস ধরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে শাসক দলকে বিপাকে ফেলছিল বিজেপি। উদ্ভূত পরিস্থিতির আবর্তে তৃণমূলের রাজনৈতিক জমিও ক্রমে আলগা হয়ে পড়ে ওই এলাকায়। অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, দাড়িভিট-কাণ্ডের পর প্রায় চারমাস ওই এলাকায় শাসক দলের কোনও নেতা সভা-সমাবেশটুকুও করতে পারেননি। আর সেইখানেই বিজেপি-তৃণমূল জোট!
দাড়িভিটের পণ্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড চালাচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল হাতে হাত মিলিয়ে। এই বোর্ড গঠন হয়েছিল দাড়িভি-কাণ্ডের অনেক আগেই। দাড়িভিটের পরেও দুই দলের পারস্পরিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের কোনও রেশ কিন্তু ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ডে পড়েনি বলে দাবি সদস্যদের একাংশেরই। মজার বিষয় হল, তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরেই সেখানে বিজেপির সমর্থন নিয়ে বোর্ড হয়েছিল। তবে এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সিপিএমের কটাক্ষ, প্রয়োজনে সর্বত্রই বিজেপি ও তৃণমূল মিলে যাবে।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। তৃণমূল ও বিজেপি পেয়েছিল পাঁচটি করে আসন। বাকি চারটি পেয়েছিল নির্দল। বাস্তবে ওই নির্দল সদস্যদের একাংশ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল হিসাবেই পরিচিত। নির্দল থেকেই প্রধান হন রাজি বেগম। বিজেপি এবং তৃণমূলের ১০ এবং দুই নির্দল সদস্য মিলে বোর্ড গড়ে। পরে তৃণমূলেই যোগ দিয়েছিলেন প্রধান-সহ এক নির্দল সদস্য। এখনও বিজেপির সমর্থন নিয়ে বোর্ড চলছে।
তৃণমূলের ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতটিতে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কেউ যদি আমাদের সমর্থন করে তা করতেই পারে।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘ওখানে নির্দল থেকে নির্বাচিত সদস্যই প্রধান হয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে আমাদের জয়ী সদস্যেরা তাঁকে সমর্থন করছে মাত্র। তৃণমূল তাদের কর্মী বলে দাবি করতেই পারে।’’ সিপিএম এর ইসলামপুর-১ নম্বর এলাকা কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, ‘‘তলে তলে বিজেপি-তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়েই চলছে। মানুষকে শুধু বোকা বানোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy