Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের ছায়া

চাকুলিয়া এবং গোয়ালপোখরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি।

আশ্রয়: ডালখোলার একটি ত্রাণ শিবিরে। নিজস্ব চিত্র

আশ্রয়: ডালখোলার একটি ত্রাণ শিবিরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডালখোলা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩২
Share: Save:

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফের বিপর্যয়ের ছায়া। কোথাও জল জমছে, তো কোথাও নদীর বাঁধ উপচে ঢুকছে জল। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা শহর, গোয়ালপোখরের ১ ও ২ ব্লক সহ করণদিঘি ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গোয়ালপোখর ২ ব্লকের সূর্যাপুর, কানকি সাহাপুর ২ পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামও জলের তলায়। বিহার সীমান্তের কাছে মহানন্দা নদী বাঁধ ভেঙে জল উপচে ডালখোলা শহর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি বছর মহানন্দা ভাঙনের ফলে ডালখোলা এবং চাকুলিয়ার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। কিন্ত প্রশাসন তা রুখতে উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, মহানন্দা নদী এই এলাকায় বিহারে পড়ছে। এই বিষয়ে রাজ্য সেচ দফতরের কাছে রিপোর্ট আকারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার জলমগ্ন এলাকাগুলো পরিদর্শনে যান ইসলামপুরের মহকুমা শাসক মণীশ মিশ্র সহ জেলা প্রশাসনিক কর্তারা। ডালখোলা পুরসভা এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

চাকুলিয়া এবং গোয়ালপোখরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। তিনি বলেন, বিহারের জলে বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত। মহানন্দা এই এলাকায় যেহেতু বিহারের সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের সাহায্যের প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে তিনি সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এদিন ডালখোলা পুরসভায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন পুরসভার প্রশাসক পৃথ্বীশ কুমার সামন্ত। যুগ্ম প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। এখন অবস্থা কিছুটা অনুকূলে। তবে সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা প্রতিরোধে সকলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দু’টি স্পিডবোট নামানো হয়েছে। সোমবার জল কমেছে, তাতে উদ্বেগ কিছুটা কম হয়েছে। অন্য দিকে করণদিঘির ব্লকে সুধানি ও নগরের জলস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসন থেকে সতর্কতা জারি করেছে। করণদিঘির ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সুধানি নদীর উপর বেলি সেতুর বিপদসীমায় জল বইছে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। নাগর নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত রসাখোয়ার ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দোহাতা গ্রাম, খোয়াসপুর সহ পাঁচটি গ্রাম জলমগ্ন। জেলা পরিষদের সদস্য সোহর বানু বলেন, ‘‘নাগরের জল উপচে বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত।’’ তিনি বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে এই এলাকায় বোল্ডার দিয়ে বাঁধ সংস্কার হলে তা অপরিকল্পিত ভাবে কাজ হয়েছে। তাই এত ভোগান্তি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy