দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থায়ী উপাচার্য তেজিমালা গুরুং নাগ সোমবার কাজে যোগ দিতে চলেছেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তেজিমালা গুরুং নাগকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক তেজিমালা। দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁকে স্বাগত জানাতে শিক্ষক, কর্মী পড়ুয়াদের উপস্থিত থাকতে নোটিস জারি করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে মংপুর আইটিআই ভবনের ক্যাম্পাসে সকলকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
নতুন স্থায়ী উপাচার্য কাজে যোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলি একে একে মিটবে বলে আশাবাদী সকলে। ২০২০-২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সুজাতা রানি রাই বলেন, ‘‘আমরা সকলেই নতুন উপাচার্যের অপেক্ষা করছি। শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় সে ভাবে পদক্ষেপও অনেক ক্ষেত্রে করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বার সেই সমস্ত সমস্যা ধীরে ধীরে কাটবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
নিজস্ব ক্যাম্পাস না-থাকায় মংপু আইটিআই কলেজে অস্থায়ী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু করা হয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এবং পরে দীর্ঘদিন সেখানে ক্লাস শুরু করা যায়নি পরিকাঠামোর অভাবে। স্থায়ী কোনও কর্মী, আধিকারিক, শিক্ষকও নিয়োগ হয়নি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্ট্যাটিউট (যে নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে) নেই। তা তৈরি করে উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠানো হলেও অনুমোদন হয়ে তা কার্যকর হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষকদের একাংশই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে পড়ান। তাঁদের অনেকের সাম্মানিক বাকি পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই পড়াতে উৎসাহ হারিয়েছেন। উপাচার্যহীন অবস্থায় গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে পড়েছিল। এ বছর ফের ভর্তির প্রক্রিয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি দেখে অনেকেই এখানে ভর্তি হতে উৎসাহ হারিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ভবন না-থাকায় যোগীঘাটে সরকারের তরফে জায়গার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সীমানা পাঁচিল অর্ধেক তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। উপাচার্য এবং স্থায়ী আধিকারিক না থাকায় সে সব তদ্বির করার কাজও সঠিক ভাবে হয়নি বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy