ভিড়ভাট্টা: এমনই ছিল শিলিগুড়ির পথে। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা পূর্ণ লকডাউনের আগে ভিড় উপচে পড়ল শিলিগুড়ির বাজারগুলিতে। আর ছ’দিন আগে বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের যে আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন, বিশেষ করে বিধান মার্কেট, খালপাড়া পাইকারি বাজার এবং চম্পাসারি বাজার এলাকায় কড়াভাবে নজরদারি চালানোর যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তা বুধবারে নজরে পড়েনি। বরং সর্বত্র ঢিলেঢালাভাব। অনেক জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য এ দিনও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
খালপাড়া পাইকারি বাজার এলাকায় নিয়মিতভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। বুধবার শহরের ওই বাজারে গিয়ে সেই পুরনো ছবিই ধরা পড়েছে। লকডাউনের আগে বাজারে ভিড়। মাস্ক নেই অনেকের মুখেই। কেন মাস্ক পরেননি? প্রশ্ন শুনেই এক এক করে মাস্ক পরেন ব্যবসায়ীরা। খালপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গৌরীশঙ্কর গোয়েল বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের বারবার বলা হয়েছে। প্রশাসন এ রকম ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিলে সংগঠন তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না।’’ খালপাড়া থেকে কয়েক দিনে স্বাস্থবিধি ভাঙার জন্য কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তবে বিধান মার্কেট বা চম্পাসারি বাজার থেকে কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
বিধান মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, মুরগিহাটি, তুলাপট্টি এলাকায় ভিড়। বিধি মানছেন না অনেক ব্যবসায়ী। কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য অসিত দে বলেন, ‘‘কিছু ব্যবসায়ী বিধি মানছেন না। আমরা নিয়মিতভাবে ঘোষণা এবং নজরদারি চালাচ্ছি। তবে গত ৬ দিনে পুলিশি পাহারা বা নজরদারি হয়নি বাজারে।’’ স্বাভাবিকভাবেই কারও বিরুদ্ধেই কোনও মামলাও দায়ের হয়নি বলেই বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে দাবি। চম্পাসারি মোড় সংলগ্ন চম্পাসারি বাজারেও ঠিলেঢালা ছবি। মাস্ক নেই অনেক ব্যবসায়ীর। থাকলেও পরছেন না। তুলু করের মনোহারি দোকানে পরপর সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে অনেক গ্রাহক। কিন্তু তাঁর মাস্ক নেই। কেন? ‘‘মাস্ক পরে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না।’’
তিনটি বাজার ছাড়াও এদিন ভিড় ছিল হায়দারপাড়া বাজার, ফুলেশ্বরী বাজার এবং সুভাষপল্লি বাজারগুলির সামনে। সকালের দিকে রীতিমতো যানজট হয়েছে। ফুলেশ্বরীতে ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে রেলগেট পর্যন্ত ভিড় থাকলেও নজরদারি ছিল না বলে অভিযোগ। একই ছবি সুভাষপল্লি বাজার এলাকায়। পূর্ণ লকডাউনের আগে আরও একদিন গেল এ ভাবেই। পুলিশ সূত্রে দাবি, মাস্ক না পরলে মামলা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তার পাশাপাশি তিনটি বাজার এলাকায় নিয়মিতভাবে ঘুরে কয়েক দিন ধরে সচেতনতা চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ চলে গেলেই ভিড়ও বেড়ে যাচ্ছে, মাস্কও খুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির এসডিও সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (সদর) জয় টুডু বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy