—প্রতীকী ছবি।
সিপিএম, বিজেপি এবং তৃণমূল হাতে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গড়ল মালদহে। কালিয়াচক তিন নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত প্রার্থী। বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত প্রার্থীকে করা হল সহ-সভাপতি। জাতীয় স্তরে বিজেপিকে ঠেকাতে এক ছাতার তলায় এসে জোট ‘ইন্ডিয়া’ গ়ড়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই জোট তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তার মধ্যে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে তাদের এমন সমঝোতা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পাল্টা জবাব দিয়েছে ওই দুই দল।
কালিয়াচক তিন পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৪২টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৩টি, বিজেপি ১১টি, কংগ্রেস ১৫টি, সিপিএম একটি এবং নির্দল দু’টি আসনে জয়লাভ করে। ত্রিশঙ্কু হয়ে যায় পঞ্চায়েত সমিতি। এর পর থেকে এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার জন্য তৃণমূল এবং কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা শুরু করে। পিছিয়ে থাকেনি বিজেপিও। সোমবার বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে দেখা গেল, তৃণমূলকে সমর্থন করলেন বিজেপির ন’জন, সিপিএমের এক জন এবং দু’জন নির্দল সদস্য। সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের নিরুপমা মণ্ডল ঘোষ। একই ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা সরকার দাস।
এ নিয়ে জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি সানুয়ার জামান বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। বিজেপির রাজ্য নেতারা মালদহে এসে দেখুক, তাদের নেতাদের কী চরিত্র! সময় এলে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন।’’
পাল্টা বিজেপির মালদহ দক্ষিণ সাংগঠনিক সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নির্দেশও দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ স্তরে নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই কাজ করেছেন।’’ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা কোনও সমর্থন চাইনি। কে ভোট দিয়েছে, জানি না। বোর্ড তৃণমূল দখল করেছে। সভাপতি আমাদের দলের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy