তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক হাত নিলেন সেলিম। — ফাইল চিত্র।
দুর্নীতি থেকে উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ— সব বিষয়েই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বৃহস্পতিবার কোচবিহার রাসমেলার মাঠে সিপিএমের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সেলিম। নাম না করে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্ৰী পরেশ অধিকারীকে নিশানা করেন।সেলিম বলেন, ‘‘এই জেলা থেকে এখন কেন্দ্রের এক জন মন্ত্রী হয়েছেন। আগে তিনি তৃণমূলের তোলাবাজ ছিলেন। এখন অমিত শাহের সহকারি হয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে চোরাচালানের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়েছে।’’ পরেশেরও নাম না করে সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এই জেলারই বিধায়ক। নাম না নেওয়াই ভাল। হাইকোর্টের রায়ে যাঁর মেয়ের চাকরি গিয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।’’
সিপিএম নেতার অভিযোগ, ‘‘মমতা বললেন, ৪০ লক্ষ মানুষের জবকার্ড করে কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ তো অন্য কথা বলছেন। কেউ বলছেন, জবকার্ড পাননি। কেউ জবকার্ড পেয়েছেন কাজ পাননি। কেউ কাজ পেয়েছেন মজুরি পাননি। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধানেরা মজুরি নিয়ে পালিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চা বাগানে ঘর দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল কোথায়, রাস্তা কোথায়, পানীয় জল কোথায়, কলকারখানা কোথায়? পড়াশোনা কোথায়?’’
পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এইমস রায়গঞ্জ থেকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হল কেন? রায়গঞ্জে জমি দেখা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি তো তাতে বাধা দেয়নি। কোনও টিমও পাঠায়নি।’’ তিনি বলেন, ‘‘কৃষিকাজ সঙ্কটে। কৃষকেরা অসুবিধায় রয়েছেন। কিসান ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কি সমস্যার সমাধান হবে? মানুষ চায় হাসপাতাল। কেন্দ্র দিচ্ছে আয়ুষ্মান ভারত। রাজ্য দিচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। চিকিৎসা নিতে মানুষকে ছুটতে হচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। কার্ড দিয়ে কি করবেন!’’
এ দিনের সভামঞ্চে ছিলেন সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়। তিনি নাম ধরেই কোচবিহার জেলার শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেন। এমনকী বাম-আমলে উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে যে গমবীজ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন।তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘বামেদের অবস্থা গোটা রাজ্যেই খুব খারাপ। অনেক চেষ্টা করেও লোক জোটাতে পারছেন না। তাই উল্টোপাল্টা বকছেন।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘বামেদের সংগঠন নেই। এ ভাবে তাই প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy