Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

সীমানায় বাধা, অসমের শিবিরে ৩৮ শ্রমিক

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিবিরে আগে থেকেই মালদহের আরও ৯ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা সকলে সাইকেলে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন।

বিপাকে: আটকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

বিপাকে: আটকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৪২
Share: Save:

অসমের হোজাই ও নগাঁও জেলা থেকে ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের ৩৮ জন শ্রমিককে অসম-বাংলা ছাগলিয়া সীমানায় আটকে দিল সে রাজ্যের পুলিশ। পরে তাঁদের ধুবুড়ি জেলার মহামায়াহাটের স্কুলে কোয়রান্টিনে রাখা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিবিরে আগে থেকেই মালদহের আরও ৯ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা সকলে সাইকেলে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কোয়রান্টিনে থাকা ওই শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা জেলায় ফিরতে চায়। রাজ্য সরকার যেন তাঁদের জেলায় ফিরিয়ে কোনও কোয়রান্টিন শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করে।

জানা গিয়েছে, অসমের হোজাই জেলার নীলবাগানে মালদহ জেলার চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া ও জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ জন বাসিন্দা ও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের ৬ জন একসঙ্গে ছিলেন। তাঁরা প্লাস্টিক ও স্টিলের বাসনপত্র সাইকেলে ফেরি করে বেড়ান। লকডাউনের পরে সেই কারবার বন্ধ হয়ে যায়।

ওই শ্রমিকদের মধ্যে চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের বাঘাপাড়া গ্রামের রাযইহান আখতর বলেন, ‘‘তিন দিন আগে নদিয়ার একটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে হোজাইয়ে এসেছিল। ফেরার সময় ট্রাকচালককে অনুরোধ করি মালদহে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ধার করে ১৫ হাজার টাকার তেল ট্রাকে ভরে দেওয়ার ব্যবস্থাও করি।’’ তিনি জানান, বুধবার রাতে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ছাগলিয়ায় পৌঁছনোর পরে অসম পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে কোচবিহার পুলিশের তরফে্ জানানো হয়েছে, বাংলা-অসম সীমানা এই মুহূর্তে সিল করা রয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ওই শ্রমিকের দাবি, অসম পুলিশ কোচবিহারের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা এই মুহূর্তে কোনও শ্রমিককে ঢুকতে দেবে না বলে জানায়। তার জেরেই তাঁদের ধুবুড়ির কোয়রান্টিন শিবিরে পাঠানো হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy