প্রতীকী ছবি
রেশনের সরকারি চাল নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে ত্রাণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান জ্যোতিষ বর্মণের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুজুংবারির চুলকানিকুঠি এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় ত্রাণের চাল-ভর্তি তিনটি ভুটভুটি ঘিরে এ দিন বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা।
তাঁদের অভিযোগ, ওই তিনটে গাড়িতে কেনা চালের সঙ্গে রেশনের তিন বস্তা রেশনের চালও রয়েছে। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে তিনটে ভুটভুটিই আটক করে এবং বেশ কয়েকটি চালের বস্তা বাজেয়াপ্ত করে। প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
লকডাউন চলাকালীন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সঙ্কটে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ বণ্টনে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এরই মধ্যে তুফানগঞ্জে ব্যক্তিগত ত্রাণ বণ্টনের নামে রেশনের চাল বিলির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন সকালে চুলকানির কুঠিতে ত্রাণের তিনটি গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, ত্রাণের গাড়িতে তিনটি খাদ্য বণ্টন দফতরের রেশনের চালের বস্তা মিলেছে। বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিশ। উদ্ধার করে নিয়ে যায় তিনটি যন্ত্রচালিত ভুটভুটি বোঝাই চালের বস্তা। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, রেশনের চালের বস্তায় ৭০ কিলোগ্রাম চাল থাকে। তিনটি বস্তায় মোট ২ কুইন্টালেরও বেশি রেশনের চাল ওই পঞ্চায়েত প্রধান নিজের উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে বিলি করতে যাচ্ছিলেন বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রেশনের চাল চুরির নিয়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে প্রশাসনিক মহলের একাংশের। বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তবে খাদ্য দফতরের চালের বস্তা যে ছিল, তা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধান জ্যোতিষ বর্মণ। তিনি বলেন, “দলের ব্লক নেতা বৈশাখ মান্তা আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথে দেওয়ার জন্য ভুটভুটি করে চাল পাঠিয়েছিলেন এ দিন। সেই ভুটভুটিতে খাদ্য বণ্টন দফতরের চালের তিনটি বস্তা ছিল। কিন্তু বস্তাগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। খাদ্য বণ্টন দফতরের বস্তা যেভাবে সিল করা থাকে, সেভাবে ছিল না। বিষয়টি সম্পূর্ণ বলতে পারবে বৈশাখ মান্তাই।”
এদিকে, বৈশাখ মান্তা জানান, তিনটে ভুটভুটিতে চাল পাঠানো হয়েছে। একেকটি ভুটভুটিতে এক কুইন্টালের কিছু সামান্য বেশি চাল ছিল। প্রতিটি চালের বস্তাই বাজারে কেনা। সেখানে খাদ্য বণ্টন কোনও বস্তা ছিল না। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, রাস্তায় বিজেপিই চক্রান্ত করে সরকারি চালের বস্তা ভুটভুটিতে তুলে দিয়েছে। বিজেপি নেতা উৎপল দাস জানান, রেশনের চাল চুরি হচ্ছে তুফানগঞ্জে। বিজেপির চক্রান্তের কোনও বিষয় নেই। এই চাল চুরি চক্রে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের একাংশ কর্তারাও জড়িত।
এ দিনই পাশের গ্রামে ত্রাণ দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমরা খোঁজ নেব।”
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও ভগীরথ হালদার জানান, খবর পৌঁছনোর পর ফুড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টের আধিকারিককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। পুলিশও রয়েছে। তদন্ত চলছে। তুফানগঞ্জ মহকুমার এসডিপিও জ্যাম ইয়াং জিম্বা জানান, “কোথা থেকে কোন চাল কখন কীভাবে এল তার তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy