ছবি এএফপি।
তৃতীয় লকডাউনের শেষে চতুর্থ লকডাউনে নানা ছাড় মিলতেই অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল শিলিগুড়ি। বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি চলছিল। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে দু’বেলা আবেদন জমা পড়ছিল। গত দু’দিন ধরে রাস্তাঘাটে বেশ ভাল সংখ্যায় লোকজন বের হচ্ছিলেন। বিকালের পর থেকে অকারণে ঘোরাফেরা বন্ধ করতে কড়াকড়ি শুরু করছিল পুলিশ। এরমধ্যে সোমবার শহরে দু’জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। মঙ্গলবার আরও একজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর মেলে। পরপর দু’দিন মন খবরে একধাক্কায় বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার রাস্তাঘাট, বাজারে অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা হলেও ভিড় কম ছিল।
ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে ৬ নম্বর এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডও এ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে ওই দু’টি ওয়ার্ডে আরও টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে দু’টি এলাকায় টানা টেস্টের জন্য বলছি। শহরের মানুষকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে।’’ ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে জিতে অশোকবাবু মেয়র হয়েছিলেন।
রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, ২১মে’র পর থেকে বড় বাজার, হর্কাস কর্নার, সেলুন-স্পা গুলো খোলার কথা। তবে সমস্ত সরকারি নিয়ম মানতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাক্স-দস্তানা পড়ার কথা বলা হয়েছে। শহরের অনেক প্রবীণ বাসিন্দা জানাচ্ছেন, রবিবার করে শিলিগুড়িতে লকডাউন ভেঙে অনেকে রাস্তায় নামছিলেন। পুলিশ ময়দানে না নামলে কেউ শুনছিলেন না। এরমধ্যেই করোনা সংক্রমণের ঘটনায় অনেকে মনে করছেন ঠিকঠাক ব্যবস্থা না নিয়ে দোকানপাট, বাজার, সেলুন খুলে গেলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন দফতর, দোকানের লাইনে এসবই আলোচনা হয়েছে। এখন পাড়ায় পাড়ায় ভ্যান রিকশা, টোটো করে ফল-আনাজ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। সেখানেও সতর্কতার প্রয়োজন বলে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত সাতদিন ধরে শিলিগুড়িতে বাইরের রাজ্য বা বাইরের জেলায় থাকা অনেক লোক ঢুকেছে। স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের অধিকাংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। অনেকে গাড়িতে এসে হাসপাতাল হয়ে বাড়ি ঢুকেছে, এদের দু’সপ্তাহ পার হয়ে না যাওয়া অবধি চিন্তা থাকছেই।
এ দিনই পুরসভার প্রশাসক বোর্ড বৈঠক করে শহরের জন্য একটি মডিউল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও এলাকা আক্রান্তের হদিশ মিলতেই সেখানে স্যানিটাইজ়েশন, পুরসভার সাফাই কর্মীদের আরও সতর্কতা-পোশাক, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ের মত একাধিক বিষয়ে কী কী করতে হবে তা তাতে থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy