সুরক্ষার দাবি: সমীক্ষায় আশাকর্মী। গোয়ালপোখরে। নিজস্ব চিত্র
করোনা-যুদ্ধে প্রশাসনের অন্যতম ‘ভরসা’ আশাকর্মীরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জ্বর, সর্দিকাশি, হাঁচি বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ, নিঃশ্বাসের কষ্টে কেউ ভুগছেন কি না, তা খুঁজছেন তাঁরাই। কিন্ত মারণ-ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাঁদের মাস্ক ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ জেলার আশাকর্মীদের অনেকেই।
তাঁদের অভিযোগ, পিপিই, স্যানিটাইজ়ার মেলেনি। একাধিক বার সে কথা স্বাস্থ্যকর্তাদের জানানো হলেও লাভ হয়নি। ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় চিহ্নিত বিভিন্ন এলাকায় যাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের ‘র্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষার’ কথা বলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহেও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন আশাকর্মীরা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার চোপড়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার আশাকর্মী রয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা রুখতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা জরুরি। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলতে হবে। লকডাউন শুরুর পরে আশা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম দিকে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছিলেন। ভিন্ রাজ্যে থেকে ফেরা শ্রমিকদের ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকাকালীন নিয়মিত তাঁদের উপরে নজরদারির পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারের কাজও করেছেন তাঁরা। এ বার থেকে তাঁরাই ঘরে ঘরে গিয়ে কোনও রোগী রয়েছেন কিনা, তার খোঁজ নেবেন। তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
আশাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ছাড়াই তাঁদের সে কাজ করতে হচ্ছে। তাতে থাকছে ঝুঁকি। তা নিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন সকলে।
জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার বক্তব্য, পিপিই শুধুমাত্র সন্দেহজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় যুক্তদেরই দেওয়া হয়। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আর এন প্রধানকে একাধিক বার ফোন করা হলেও উত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy