Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

ওঁরা ফিরলে কাজ? ভাবছে প্রশাসন

কিন্তু কেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের একটি অংশ ভিন্ রাজ্যমুখী? মালদহ থেকে কোচবিহার, উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কর্মসংস্থান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নমিতেশ ঘোষ
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৭:২৯
Share: Save:

লকডাউন উঠলেই কি ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা দলে দলে ঘরে ফিরবেন? এই প্রশ্ন সামনে রেখেই তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই স্নেহের পরশ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের সরকারি সুবিধে থেকে ১০০ দিনের কাজ যাতে বাসিন্দারা ঠিকঠাক পান, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কাজের অভাব হবে না। ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজনও হবে না।”

কিন্তু কেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের একটি অংশ ভিন্ রাজ্যমুখী? মালদহ থেকে কোচবিহার, উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কর্মসংস্থান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। শিলিগুড়ি কিছুটা ব্যতিক্রম। উত্তরে সে ভাবে ভারী শিল্প গড়ে ওঠেনি। মাঝারি শিল্প হাতে গোনা। ক্ষুদ্র শিল্পের উপরই সবাই নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর। কিন্তু কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে ওঠেনি কোথাও। গ্রামের বাসিন্দাদের একটি অংশকে প্রতিনিয়ত কষ্টের মধ্যে দিয়েই দিন কাটাতে হয়। ভিন্ রাজ্যে যাওয়া বাসিন্দাদের অনেকেরই বক্তব্য, সরকারি সুযোগ তেমন মেলে না। একশো দিনের কাজই বা কদিন জোটে! অনেক ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় বলেও অভিযোগ। রয়েছে দুর্নীতির নালিশও। তাই ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার স্রোত অব্যাহত।

গত বছর কাশ্মীরে শ্রমিকদের উপর হামলা শুরু হয়। প্রচুর শ্রমিক ফিরে আসেন রাজ্যে। তাঁদের জন্য সমর্থন প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে প্রকল্পের এককালীন টাকা নিয়ে নিজভূমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই অনেকেই ফের ছুট দেন ভিন্ রাজ্যে। এ বার পরিস্থিতি আলাদা। করোনাভাইরাস রুখতে লকডাউন। মানুষ গৃহবন্দি। এমন অবস্থায় ফিরতে আগ্রহী ভিন রাজ্যে কর্মরত উত্তরের বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। তাঁদের বেশির ভাগই কোয়ারান্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তবে, তাতে স্বস্তি ফিরলেও কাজ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছেই।

গোয়ালপোখরের হাবিব আলম দিল্লির হোটেলে কাজ করেন। কোয়রান্টিন শিবির থেকে ছাড়া পেয়ে, বাড়তি ভাড়া দিয়ে ট্রাক চেপে বাড়ি ফেরেন। তিনি বলেন, “সংসার কী ভাবে চালাব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।” তবে আশাবাদী প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাঁরা মনে করছেন, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

(তথ্য সহায়তা: মেহেদি হেদায়েতুল্লা)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy