প্রতীকী ছবি
চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলার পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। কিন্তু আলিপুরদুয়ার এই মুহূর্তে কোন জ়োনে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।
প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের কথায়, পরিস্থিতি অনুযায়ী আলিপুরদুয়ারের গ্রিন জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে চলে যাওয়া উচিত। কিন্তু এ নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ না আসায়, ধন্দে তাঁরাও। এই বিভ্রান্তির মাঝে, রবিবার অবশ্য ছুটির মেজাজেই ভিড় উপচে পড়ল জেলার বাজারগুলিতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূরত্ব-বিধি মানার সদিচ্ছা অনেকের মধ্যে ছিল না বলে অভিযোগ।
পুলিশকেও এ দিন তেমন পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন। যদিও নজরদারি জারি ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কোন এলাকায় করোনার প্রকোপ কতটা, তার উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি জেলাগুলিকে রেজ, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। সেই জ়োন ভাগ করার সময় পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে করোনায় আক্রান্ত কোনও রোগী ছিল না। ফলে প্রত্যাশিতভাবেই, আলিপুরদুয়ারকে গ্রিন জ়োনে রাখা হয়। তারপর গত বৃহস্পতিবার, উত্তরের এই জেলায় দিল্লির এইমস থেকে ফেরা চারজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। যার জেরে, আলিপুরদুয়ার গ্রিন জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে চলে গেল কিনা, বিভিন্ন মহলে সেই প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে সরকারি কোনও নির্দেশ আসেনি। ফলে আলিপুরদুয়ার এখন কোন জ়োনে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ।
তৃতীয় দফায় ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রিন ও অরেঞ্জ জ়োনের পাশাপাশি রেড জ়োনেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সেক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার কোন জ়োনের নিয়মে ছাড় পাবে? জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, আলিপুরদুয়ার এখন কোন জ়োনে রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে জেলায় কোন জ়োনের ছাড় মিলবে, সেটাও বলা কঠিন। সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানালেন তাঁরা।
এই বিভ্রান্তির মধ্যে রবিবার আলিপুরদুয়ার শহর সমেত জেলার বিভিন্ন বাজারে চলল দেদার কেনাকাটা। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনেককে একে অপরের গা ঘেঁষে চলাফেরা করতে যেতে দেখা যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy