প্রতীকী ছবি
লকডাউন যেন লুকোচুরি খেলা! পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের দেখলেই কোচবিহারের কিছু মানুষের একাংশের তড়িঘড়ি কেটে পড়ার চেষ্টা দেখে এমনটাই মনে করছেন বাসিন্দাদের অনেকে। ওই ভাবনা যে একেবারে অমূলক নয় তা বুঝেছেন প্রশাসনের কর্তাদের অনেকে। রাস্তায় বেরিয়ে কেউ আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ বাজারে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে কেনাকাটা করছেন। অনেকে মাস্ক না পরেই বেরোচ্ছেন। পুলিশের গাড়িদেখলে সতর্ক হচ্ছেন। অনেকেরই প্রশ্ন, সরকার এত কথা বলার পরে এই লকডাউনের অর্থ কী?
একই অভিযোগ আলিপুরদুয়ারেও। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে শুক্রবারই কয়েকটি জায়গায় ‘কড়া দাওয়াই’ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে অবশ্য আলিপুরদুয়ারের কোন জায়গা ছিল না। আর তাই, লকডাউন মানার প্রশ্নে শনিবারও এই জেলায় কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না বলে অভিযোগ উঠল।
অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার শহরের একাংশ ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের বিধি মানার বালাই নেই বললেই চলে। সকাল হতে না হতেই বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলছে কেনাকাটা। সেইসঙ্গে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বসছে আড্ডা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেও অনেককে কিছুই বলা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
কোচবিহার প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, আসলে অনেকেই বুঝতে চাইছেন না নিজেদের জন্যও বাড়িতে থাকা দরকার। প্রশাসন সূত্রের দাবি, রাস্তায় আল্পনা আঁকা থেকে মাইক প্রচার নানা ভাবে সচেতন করার প্রক্রিয়া চলছে। পুর এলাকায় বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর হোম ডেলিভারি চালু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব রাখার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তা মানছেন। কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সতর্কও করা হচ্ছে।”
কোচবিহারের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কয়েকদিন থেকেই লকডাউন মানার প্রবণতা কমছিল। গ্রামগঞ্জের অনেক বাজারগুলিতেই সাবধানতার বালাই একেবারে মানা হচ্ছিল না। প্রবণতা রুখতে লাঠি হাতেও নামতে হয় পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy