—ফািল চিত্র।
লকডাউন ঘোষণার পরে দু’মাস কেটে গিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত গ্রিন জ়োনের তকমা ধরে রেখেছিল কোচবিহার। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোচবিহারে ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষেই ফাঁকা হতে থাকে রাস্তাঘাট। এরই মধ্যে ভিন্ রাজ্য থেকে একের পরে এক ট্রেন ঢুকতে শুরু করে নিউ কোচবিহার স্টেশনে। সব ট্রেনই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ফিরেছে জেলায়। শ্রমিকদের অনেকেই রেড জ়োন মহারাষ্ট্র, দিল্লি থেকেও ফিরেছেন। তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, যে ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই সময়ে সবাইকে সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আতঙ্ক ঠিক নয়। সবার কাছে আবেদন, আপনারা সতর্ক থাকুন, সাবধানে থাকুন। প্রশাসন এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’ কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ বাইরে থেকে ফিরছেন। তাঁদের কারও মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। ওই বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন-পুলিশ-স্বাস্থ্য এবং একাধিক বিভাগের কর্তারা ইতিমধ্যেই দফায় দফায় আলোচনা সেরেছেন। সংক্রমণ রুখতে কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই সময়ে দু’টি বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এক, ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা সবাইকে কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা। দুই, ভিড় এড়াতে বাজারগুলিতে নজরদারি বাড়ানো। অযথা কাউকে বাড়ি থেকে বাইরে না বেরোনোর জন্য আবেদন করা হবে। দিন কয়েক ধরে লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা এসেছে। রাস্তায় বাস চলছে। বেশিরভাগ দোকানপাট খুলে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সকালের দিকে বাজারগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। দোকানেও ভিড় হচ্ছে। এখন সামাজিক দূরত্ব কেউ মানছেন না। এমনকি অনেকেই মাস্ক ছাড়াই বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। দোকানের সামনে স্যানিটাইজ়ার বা সাবান রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। সেটাও এখন কেউ মানছেন না। সে জন্যই ফের কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলে দোকান খোলা রাখার সময় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বলেন, “এই সময়ে সবাইকে আইন-নিয়ম মানতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy