প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ বৃদ্ধিতে করোনা চিকিৎসার পরিষেবা দিতেও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চাপ বাড়ছে। চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কাজ করতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। নতুন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকে যোগ দিতে চাইছেন না। তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর।
পুজোর আগে কেনাকাটার জন্য রোজ বাজারে ভিড় হয়েছে। পুজোয় নবমী, বিসর্জনে, লক্ষ্মীপুজোর বাজারেও ভিড় হয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এখনই সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চাপ পড়ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভাইরলজি রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গন্যাস্টিক ল্যাবরেটরির উপর। চাপ বাড়ছে অন্য জেলার ল্যাবরেটরিগুলোর উপরও।
চিকিৎসকদের অনেকেই করোনার শিকার হয়ে জীবন দিয়েছেন। ফলে ডাক্তারদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে ৫ জন চিকিৎসক এবং ১৭ জন নার্সিংস্টাফের সংক্রমণ ধরা পরেছে। বেলাকোবা সেফহোমে নার্সিংস্টাফ রয়েছেন একাধিক। হোম আইসোলেশন থেকে শুক্রবার একজন চিকিৎসককে আইসিইউ’তে ভর্তি করতে হয়েছে। দু’জন চিকিৎসক মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের এক জনকে বাইপ্যাপে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ওএসডি সুশান্ত রায় জানান, মার্চ থেকে কোভিড হাসপাতালে, সেফহোমে দিন-রাত পরিষেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ বুঝতে পারছেন না যে এমন পরিস্থিতি হতে পারে যে চিকিৎসক পাবেন না। উত্তরবঙ্গেও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভাবে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন তাতে অনেকেই কাজ করতে চাইছেন না। তাঁদেরও পরিবার রয়েছে। চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফরা কাজ করতে না চাইলে তখন বিপত্তি ঘটবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে সেই সংখ্যাটা ২৫। শিলিগুড়ির দু’টি কোভিড হাসপাতালের নার্স-চিকিৎসকদের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালে বিভিন্ন সময় দু’জন সুপার আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মৃত্যুর হার সব চেয়ে বেশি এবং প্রায় ৩০ শতাংশ। ভিআরডিএলের দ্বায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণাভ সরকার বলেন, ‘‘মার্চ থেকে ল্যাবরেটরির কর্মী, চিকিৎসকরা দিনরাত এক করে অতিরিক্ত কাজ করছেন। ফের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে তাই তাঁরাও চিন্তিত।’’
জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy