বিধিভঙ্গ: বাজারের রাস্তায় ভিড়। শনিবার বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
পথঘাটে উপচে পড়া ভিড় দেখে বৃহস্পতিবার প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের করোনা নিয়ন্ত্রণের আধিকারিক সুশান্ত রায়। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলেই সরব হলেন বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, দোকান-বাজার তো বটেই, মাস্ক ছাড়াই ভিড় জমছে খোদ হাসপাতাল চত্বরেই। আর তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
তবে হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘‘সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালের আধিকারিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের পরিবারের লোকেদের হাসপাতাল চত্বরে ভিড় না করা ও সবাইকে মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক করছেন।’’
সচেতন বাসিন্দার একাংশ জানালেন, শেষ মুহূর্তে জোর কদমে শুরু হয়েছে কেনাকাটা। আর তার জেরেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন শপিংমল, পোশাক ও জুতোর দোকানে বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ছে। সেই দৃশ্য দেখার পর বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সুশান্ত রায়। বৈঠকে তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দফতর, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা ও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জেলায় সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে বাসিন্দাদের সতর্ক করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে পরিস্থিতির বদল হয়নি বলেই অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবারের লোকেরা দিনভর হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করে বসে থাকছেন। অনেকের মুখেই থাকছে না মাস্কও।
হাসপাতালের তৃণমূল প্রভাবিত অস্থায়ী কর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘‘হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের লালারস সংগ্রহ কেন্দ্রের পাশে রোগীদের পরিবারের লোকেরা দিনভর মাস্ক না পরে ভিড় করে বসে থাকছেন। তাতে আশঙ্কা বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের পরিবারের লোকেদের সচেতন না করলে সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়।’’
অভিযোগ, করোনা আবহের মধ্যে হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ভবন, ওয়াটার এটিএম,
ফিভার ক্লিনিক, জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালের পুরনো ভবনে যাতায়াত করার করিডরের সামনে দিনভর রোগীদের পরিবারের লোকেরা ভিড় করে বসে থাকছেন। বেশিরভাগ বাসিন্দার মুখে মাস্ক থাকছে না। শনিবার দুপুরে ডাক্তার দেখাতে আসা এক রোগীরআত্মীয় বলেন, ‘‘অনেকেই তো মাস্ক না পরে বসে রয়েছেন।
হাসপাতালের কেউ আমাদের ভিড় না করতে, বা মাস্ক পরার ব্যাপারে কিছু বলেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy