প্রতীকী ছবি
সকালেও আক্রান্তের সংখ্যাটা এক অঙ্কের ঘরে ছিল। দুপুরে নতুন করে আরও রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, রবিবার নতুন করে আরও ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে কোচবিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। ওই আক্রান্তদের মধ্যে সাত বছরের এক শিশুও রয়েছে। এ দিনই অবশ্য আরও ১৮৬ জনের রিপোর্ট এসেছে জেলায়। তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ। এমন পরিস্থিতিতে কোচবিহারকে পুরোপুরি করোনামুক্ত করার লক্ষ্যে হাঁটতে চাইছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। সে জন্য আগামী তিন সপ্তাহ টানা সচেতনতা অভিযান চলবে।।রাস্তায় থাকবেন প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারও মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনকে জানাতে হবে। সামনের কয়েকটি সপ্তাহ আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কোচবিহারে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৯৬ জন। ৫ জন এ দিনই আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের ২ জন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের একজন মহিলা, আর একজন সাত বছরের শিশুকন্যা। কী ভাবে ওই দু’জন আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি জেলায় এখন পর্যন্ত ২৮১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার হারের ওই গতিতে খুশি কোচবিহার জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর। সে জন্যই আগামী কয়েকদিন আরও সতর্ক থাকার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে তারা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, টানা দু’মাস গ্রিন জ়োন থাকার পরে কোচবিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। কারণ, ওই সময় পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লক্ষ শ্রমিক বাড়িতে ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারে খুব সামান্য সংখ্যায় মানুষ ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরছেন। সেক্ষেত্রে নতুন করে আক্রান্ত বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম। সেক্ষেত্রে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গোষ্ঠী সংক্রমণ কোনওভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। যাঁদের মধ্যে করোনার লক্ষণ থাকবে দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। স্যানিটাইজ়ার বা সাবান জলও ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে হবে। সে জন্যই ইতিমধ্যেই কোচবিহারে ওই আবেদন রেখে মাইকে প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “আমরা যতটা সম্ভব মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।” স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “জেলার পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। এখন সচেতন ভাবে চললে জেলাকে করোনামুক্ত করতে পারব আমরা।”
কোথায় কত
জেলা আক্রান্ত* সুস্থ
কোচবিহার ২৯৬ ২৮১
আলিপুরদুয়ার ১৮২ ১০৮
জলপাইগুড়ি ৩৩৫ ২৬৩
দার্জিলিং ৪৫৫ ২৫০
কালিম্পং ৫২ ৪৫
উত্তর দিনাজপুর ২৮৭ ২২৬
দক্ষিণ দিনাজপুর ২০০ ১৩৪
মালদহ ৫৬৪ ৩০৯
মোট ২৩৭১ ১৬১৬
* ২৮ জুন রাত পর্যন্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy