প্রতীকী ছবি।
আতঙ্কের মধ্যেই কিছুটা স্বস্তি। সোমবার নতুন করে ৮৮৬ জনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে কোচবিহারে। তাঁদের প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে সেই স্বস্তির পথে কাঁটা ‘রেড জ়োন’। সেখান থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে প্রশাসনের। সেক্ষেত্রে এখন তাঁদের দিকেই নজর রয়েছে প্রশাসনের। তাঁদের আলাদা করে রেখে দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তার মধ্যেই অভিযোগ, রেড জ়োন মুম্বই ফেরত অনেককেই হোম কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “রেড জ়োন থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রশাসনের দাবি, বাসিন্দাদের অনেকেই সঠিক তথ্য না জেনেই অভিযোগ তুলছেন।
দু’মাসের বেশি সময় গ্রিন জ়োন থাকার পরে কোচবিহার জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। এখনও পর্যন্ত কোচবিহারে ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। আর দু’জন চিকিৎসার কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁরা জোড়াইয়ের বাসিন্দা। পাশেই আলিপুরদুয়ারের কোয়রান্টিনে ছিলেন তাঁরা। বাকি ৮৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন কোয়রান্টিন সেন্টারে। বাকি কয়েকজন হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। তাঁরা কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ শুরু করেছে প্রশাসন। অনেককেই কোয়রান্টিনে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার ৫১টি গ্রামকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে সেখানে বাসিন্দাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দিনহাটা মহকুমাতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। সে জন্য ওই মহকুমা নিয়ে আরও পদক্ষেপ করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রেড জ়োন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত থেকে ফিরেছেন। তাঁদের একটা বড় অংশকে কোয়রান্টিনে রাখা হলেও কয়েকজনকে হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। দিনহাটা ২ ব্লকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, মহারাষ্ট্র ফেরত ৮ জনকে হোম কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে, প্রত্যেকের নাম ঠিকানা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। তাঁরা কোথায় থেকে ফিরছেন, তা-ও নথিবদ্ধ হচ্ছে। এর পরেই রেড জ়োনের বাসিন্দাদের কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy