প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে দুর্গাপুজোর বাজারে ভিড় দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের আধিকারিক সুশান্ত রায়। সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে দ্রুত সেই ভিড় থেকে বাসিন্দাদের লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার কাজ শুরুরও নির্দেশ দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দফতর, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, রায়গঞ্জ পুরসভা ও রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন সুশান্ত। কর্ণজোড়ায় জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে ওই বৈঠকে বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরাও সামিল ছিলেন। সেখানে সুশান্ত বলেন, “রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শপিংমল, পোশাক ও জুতোর দোকানে ভিড় দেখলাম। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এমন চলতে থাকলে সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করা সম্ভব হবে না। স্বাস্থ্য দফতর সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন ও রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কর্তাদের তিনি বলেন, “আপনারা দ্রুত একটি দল গঠন করে শপিংমল, পোশাক ও জুতোর দোকানের ভিড় থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের লালারস সংগ্রহ করে তা অ্যান্টিজেন কিটে পরীক্ষা করান। কারও সংক্রমণ ধরা পড়লে তাঁকে সেখান থেকে তুলে কোভিড হাসপাতাল বা সেফ হোমে ভর্তি করুন।”
জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা ও রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “প্রশাসন ও পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজোর কেনাকাটা করতে সতর্ক করা হয়েছে।”
রায়গঞ্জের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে পুজো ও প্রতিমা বিসর্জনে ভিড় এড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছেন সুশান্ত। পাশাপাশি, দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করারও নির্দেশ দিয়েছেন। ভিড় এড়াতে পুজোর আকর্ষণ কমাতে কম আলোকসজ্জা ও দিনে প্রতিমা বিসর্জনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy