প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ির পুর এলাকা এবং মহকুমা মিলিয়ে আরও আট জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলল। সোমবার তাঁদের রিপোর্ট মেলে। এর ফলে সোমবার রাত পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং দার্জিলিং জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০ জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তারমধ্যে তিন জন শিলিগুড়ি পুরসভা এবং দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা। বাতাসি কোয়রান্টিন সেন্টারে দেখভালের কাজে যুক্ত দু’জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। এ ছাড়া নকশালবাড়িতে দু’জনের এবং ফাঁসিদেওয়ায় এক জনের শরীরে করোনার সংক্রমণের খবর মেলে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সারিতে আক্রান্তদের এক জন চোপড়ার লক্ষ্মীপুরের, তিনি দিল্লি থেকে ফিরেছেন। আর এক জন কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা, তিনি বাংলাদেশ থেকে হুগলি হয়ে শিলিগুড়ি ফিরেছিলেন। দার্জিলিং জেলার মধ্যে যারা রয়েছেন তাঁদের দু’জনের বাড়ি শিলিগুড়ি পুর এলাকায়। এক মহিলা পুরসভার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশনগরে থাকেন, অপর জন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভানুনগরে বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর। তাঁরা যথাক্রমে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি থেকে ফিরেছেন। তবে ভানুনগরের ওই আক্রান্ত ব্যক্তি এখন চম্পাসারির ডাকনিকাটা এলাকায় থাকেন বলে তাঁরই পরিবারের লোক জানিয়েছে। এ ছাড়া মিরিকের সৌরিণীর এক বাসিন্দাও করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি হরিয়ানা থেকে ফেরেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির দু’জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। নকশালবাড়ির অটোল চা বাগানের শ্রমিক এক প্রসূতি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এ দিন যে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সেই শ্রমিকের পরিবারের সদস্য। একজন ষাট বছরের প্রৌঢ়, আর এক জন ১ বছরের শিশু। ওই মহিলা চা শ্রমিক কী ভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয় স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। তা নিয়েই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।
নকশালবাড়িতে মাছ বিক্রেতা এক কিশোরের শরীরে রবিবার সংক্রমণ মেলে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্লক প্রশাসনের তরফে বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ দিন হাতিঘিষা কোয়রান্টিন সেন্টারের সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাই এলাকা থেকে কোয়রান্টিন সেন্টার সরাতে হবে।
খড়িবাড়ির বাতাসি কোয়রান্টিন সেন্টারে হাউজ কিপিংয়ের কাজে যুক্ত আক্রান্ত দুই ব্যক্তির এক জন বুড়াগঞ্জের বাসিন্দা। অপর জন বাতাসি হাসপাতালের পিছনের কোয়ার্টারে থাকেন বলে ব্লক প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ফাঁসিদেওয়ার যে ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে তিনি ক্যান্সারের রোগী। সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফেরেন। তিনি এলাকার অপর এক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy