বাড়ি ফেরার পথে। নিজস্ব চিত্র
প্রায় প্রতিদিনই নতুন করোনা সংক্রমণের খবর মিলছে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলার চারজন স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক চিকিৎসক সুশান্ত রায় জানান, নতুন করে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই ময় নাগুড়ি ব্লকের। তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরে। অন্য দু’জন বেলাকোবার বাবুপাড়া এবং ময়নাগুড়ির দেবীনগরের বাসিন্দা।
এর পরেই জলপাইগুড়ি শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিউটন পাড়া এলাকার ৬৬ নম্বর বুথ ও কদমতলার দুর্গাবাড়ির ১০১ নম্বর বুথকে বাফার জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দুই স্বাস্থ্যকর্মী এই এলাকায় থাকতেন। তাঁদের বাড়ি ও লাগোয় অল্প এলাকা কনটেনমেন্ট জ়োন হয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রেসকোর্স পাড়ার ১১৬ নম্বর বুথ বৃহস্পতিবারই বাফার জ়োন ঘোষিত হয়েছিল। এছাড়া, জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা তিনজন করোনা আক্রান্তের ফের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এ দিনই কোভিড হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত চারজন স্বাস্থ্যকর্মী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে সুশান্ত রায় জানান। তাঁদের মধ্যে দু’জন নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্সিংস্টাফ, একজন জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের সহকারি সুপার ও অন্যজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়া। ওই পড়ুয়া নিজে মোটরবাইকে এসে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ দিন মোটরবাইকেই মেডিক্যালের হোস্টেলে ফিরে যান।
আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে শহরের এক বাসিন্দা এ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ব্যাক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন। তখনই ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁকে ফোন করে জানান যে তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। তখন একটি গাড়িতে পান্ডাপাড়ার বাড়িতে এসে সুগারের ওষুধ নেন। মার্চেন্ট রোডেটি দোকান থেকে ছাতা কেনেন। এরপর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি কদমতলায় একটি আবাসনে থাকতেন। ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান জানান, সংস্পর্শে আসা অন্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy