Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Migrant labourers

‘হয় খাবার দাও, না হয় বাড়িতে ফেরাও’

কখনও মালদহ জেলাশাসককে, সাংসদকে ফোন করে, কখনও রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জানাচ্ছেন শ্রমিকেরা।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০১:৫৯
Share: Save:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মুম্বইয়ের বান্দ্রার ভারতনগরে আটকে পড়া বাংলার বেশ কিছু শ্রমিকের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। কিন্তু বান্দ্রারই বহরামে আটকে পড়া কপর্দকশূন্য মালদহের শতাধিক শ্রমিকের ভাগ্যে শুক্রবার পর্যন্ত কিছুই জোটেনি বলে অভিযোগ। এক দিকে কাজ বন্ধ, অন্য দিকে টাকা পয়সা সব শেষ। কার্যত অভুক্ত রয়েছেন তাঁরা।

কখনও মালদহ জেলাশাসককে, সাংসদকে ফোন করে, কখনও রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জানাচ্ছেন শ্রমিকেরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা তুলে ধরেছেন। সরকার বা প্রশাসনের কাছে তাঁদের আর্তি, “হয় খাবার দাও, না হয় বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করো”।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার বান্দ্রার ভারতনগরে বাংলার কিছু শ্রমিকের একটি ভিডিয়ো বার্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছয়। জানানো হয়, লকডাউনে কাজ নেই, হাতে টাকাও নেই। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লেখেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, বিকেলেই সেখানে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের ওই শ্রমিকদের কাছে পর্যাপ্ত চাল, ডাল, আনাজ পৌঁছে যায়।

সূত্রের খবর, ভারতনগরের কাছে বহরামে রয়েছেন মালদহের মোথাবাড়ির শতাধিক শ্রমিক। তাঁরা নির্মাণকাজে যুক্ত। নির্মাণ সংস্থার টিনের চাল ও টিনের বেড়ার ঘরেই থাকেন। একটি ঘরে ১৫ থেকে ১৬ জন শ্রমিক গাদাগাদি করে থাকেন। ফলে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে তাঁদের ঘুম উড়েছে। কাজ না থাকায় ফুরিয়েছে টাকাও।

মোথাবাড়ির বাগিচাপুরের সফফর শেখ বলেন, “লকডাউনের আগেই করোনা-আতঙ্কে এখানে নির্মাণের কাজ বন্ধ। আমরা কপর্দকশূন্য। দু’দিন ধরে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।’’ মোথাবাড়িরই চাঁদপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন, সাইমুল শেখ, ডাবলু শেখদের আক্ষেপ, শুনেছি মহারাষ্ট্র সরকার ভারতনগরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া কিছু শ্রমিককে খাবার দিয়েছে। আমরা পেলাম না। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, হয় খাবারের ব্যবস্থা করা হোক, না হলে আমাদের বাড়ি ফেরানো হোক।

মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, “রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) বলেন, “জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Migrant labourers Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy