বন্ধ: সিকিম পর্যটন বিভাগের দরজা থেকে ফিরতে হচ্ছে বিদেশি পর্যটককে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয় এ বারে ধাক্কা দিল সিকিমে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনার উপরে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাদের সামনে দরজা বন্ধ করে দিল সিকিম সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই তা কার্যকর করার কথা জানিয়েছে সিকিম স্বরাষ্ট্র দফতর। এমনকি, ভুটান থেকে আসা বাসিন্দারাও সিকিমে এখন যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। তার ফলে এদিন সিকিম যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিলিগুড়িতে এসে আটকে পড়েন অনেকে।
সিকিম পর্যটন দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটনের মরসুম বাদে বাকি সময় রোজ গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন বিদেশি পর্যটক সিকিমে যান। পর্যটন মরসুমে তা হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনার ভয়ে এই পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পর্যটন ব্যবসাতেও পড়বে। সিকিম ছাড়াও শিলিগুড়ির অনেক ভ্রমণ সংস্থা রয়েছে। তা ছাড়া পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অনেকে। তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নিয়ম মাফিক সিকিম যেতে বিদেশি পর্যটকদের বাধ্যতামূলক ভাবে ‘ইনার লাইন পারমিট’ নিতে হয় পর্যটন দফতর থেকে। শিলিগুড়ি থেকে যেমন এই পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনই কলকাতা, দিল্লি, দার্জিলিংয়ের মতো বিভিন্ন জায়গা থেকেও এই পারমিট মেলে। এ দিন বিদেশি পর্যটকদের যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার নোটিসের জেরে ওই সমস্ত জায়গা থেকে ‘ইনার লাইন পারমিট’ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভুটানের বাসিন্দাদের অবশ্য সিকিম যেতে কোনও ‘ইনার লাইন পারমিট’ লাগে না। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিকিমে তাঁদের যাতায়াতও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
শিলিগুড়িতে সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টের পর্যটক তথ্যকেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর সোনম পেকি ভুটিয়া বলেন, ‘‘সিকিমে স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশে এ দিন থেকে বিদেশি পর্যটকদের ইনার লাইন পারমিট দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের আশঙ্কাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ সিকিম পর্যটন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তত ৮০০ জন বিদেশি পর্যটককে শিলিগুড়ির এই কেন্দ্র থেকে ইনার লাইন পারমিট দেওয়া হয়েছে।
এ দিন সিকিম যেতে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন ফিরদৌস হুসেন, অসিকুর রহমান, শাহরিয়া মহম্মদের মতো বেশ কয়েক জন। এসএনটি কেন্দ্রে ইনার লাইন পারমিট নিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, এ দিন থেকে তা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফিরদৌস বলেন, ‘‘অনেক পরিকল্পনা করে সিকিমে ঘুরতে যাওয়া হচ্ছিল। পুরোটাই ভেস্তে গেল।’’ শাহরিয়া মহম্মদ জানান, ‘‘সিকিম যেতে না পেরে খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই। এখন অন্যত্র যাওয়ার কথা ভাবতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy