প্রতীকী ছবি
করোনার ধাক্কায় পিছিয়ে যেতে পারে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। সূত্রের খবর, লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে ভারতীয় রেল বোর্ড এই প্রকল্পকে অগ্রাধিকার তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
দুই কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি। প্রথমত, গত তিন মাসে দেশ জুড়ে রেল চলাচল বন্ধ থাকায়, বিপুল রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আর্ন্তজাতিক যোগাযোগের ছাড়পত্র বিদেশ মন্ত্রক থেকে মিলবে না বলেই রেল ধরে নিয়েছে। রেলের কাছে খবর এসেছে, বাংলাদেশ সরকারও চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজে গতি কমিয়েছে। যদিও এই লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে দাবি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তাদের একাংশের। তাঁদের যুক্তি আগামী মাস থেকেই রেল চলাচল শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্পে আগে থেকেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে পয়েছে, কাজেই তেমন বড় সমস্যা হবে না বলেই দাবি।
আগামী জুলাই থেকে হলদিবাড়ি চিলাহাটি রেল যোগাযোগ শুরুর কথা ছিল। ঠিক ছিল প্রথমে মালগাড়ি চলবে। হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। ওই লাইনে মহড়াও হয়েছে। হলদিবাড়ি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বৈদ্যুতিন সিগন্যাল বসানো হয়েছে। এতদিন হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন হয়ে রানিনগর পর্যন্ত লাইনে পুরনো সিগন্যাল ব্যবস্থা ছিল। ডবল লাইনও পাতার কাজ শুরু হয়েছে। এই লাইনেই সম্প্রতি বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু হয়েছিল। গত বছরের বাজেটে বিদ্যুতের ওভারহেড তার টানার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল রেল। আপাতত সবই ঢিমেতালে হবে বলে সূত্রের খবর। রেলের আগের নির্দেশে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিক বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে রেল লাইনে যোগাযোগের সব কাজই আপাতত থমকে রয়েছে। রেল বোর্ড থেকে নির্দেশ না আসলে কাজ শুরু হবে না। জুলাইতে দুই দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে না এ কথা বলাই যেতে পারে।”
হলদিবাড়ি স্টেশনের পরিকাঠামোও বাড়ানো হয়েছিল দু’দেশের লাইনের কথা মাথায় রেখে। এই লাইন শুরুর পরে হলদিবাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল এবং দুরপাল্লার ট্রেন চালানোর প্রস্তাবও ছিল রেলের। রেল সূত্রের খবর, করোনার ধাক্কায় সবই আপাতত বিশ বাঁও জলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy