Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Coronavirus

করোনা সেরে কাজে ডাক্তার

শুধু তিনি একা নন, ওই হাসপাতালের আরও আট জন স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

অর্জুন ভট্টাচার্য
ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৭:১০
Share: Save:

বয়স ৫৭ বছর। পেশায় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক। অন্য বেশ কিছু রোগকে সঙ্গী করেই ১৯৮৭ সাল থেকে এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তিনি। করোনা আবহেও প্রতিদিনই ১০-১২ ঘণ্টা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করতে হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে কখন যে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তা বুঝতে পারেননি ওই মহিলা চিকিৎসক। শুধু তিনি একা নন, ওই হাসপাতালের আরও আট জন স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সকলেই সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। সরকারি নির্দেশ মেনে ফের কাজেও যোগ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘৬ মে যখন জানতে পারলাম আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, সত্যি বলতে কি ওই সময়ে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ, আমার হাইপারটেনশন, হৃদরোগ ও অন্য বেশ কিছু শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। তার পরে নিজের মনকে শক্ত করে ফেললাম। এরপর জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি। সরকারি নির্দেশ মেনেই সাতদিন হোম কোয়রান্টিনে ছিলাম। এখন ফের কাজে যোগ দিয়েছি।’’

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৩১ মে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ৫ ও ৬ মে রিপোর্ট আসার পরে জানা যায়, ওই মহিলা চিকিৎসক ও আট জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দ্রুত সরকারি নির্দেশ মেনে সকলকেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। করোনাকে জয় করে ফিরে আসা স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, সবসময় অভিভাবকের মতো তাঁদের পাশে ছিলেন ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান। সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পরে ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।করোনাকে জয় করে ফিরে আসা এক স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়, ‘‘এখনও কিছু মানুষ আমাদের দেখে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। টোটোতে নিতে চাইছেন না অনেকেই। বেশ কিছু দোকানদারও খারাপ ব্যবহার করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE