তৃণমূল আয়োজিত অনুষ্ঠানমঞ্চে মানিকচক থানার আইসি। —নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনী। সেই মঞ্চে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের পাশে উর্দি গায়ে দেখা গেল এক পুলিশ আধিকারিককে। তিনি বক্তৃতাও করলেন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে শাসকদলের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে বিঁধেছে বিজেপি এবং সিপিএম। গোটা ঘটনায় শোরগোল মালদহের মানিকচকে।
মানিকচক ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানিকচক ব্লক কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়া সম্মিলনী এবং ‘শারদ সম্মান’ অনুষ্ঠান। স্থানীয় সূত্রে খবর, মানিকচক থানার আইসি সুবীর কর্মকারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি এবং বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে মানিকচকের ৭৮টি দুর্গাপুজো কমিটিকে ‘শারদ সম্মান’ দেওয়া হয়। মঞ্চে অতিথির আসনে ছিলেন মালদহ জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভঙ্কর সান্যাল, মালদহ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানমঞ্চে ‘মধ্যমণি’ হয়ে বসে ছিলেন আইসি। শুধু তা-ই নয়, মঞ্চে বক্তৃতা করার সময় ওই পুলিশ আধিকারিক আব্দুর রহিমকে মালতীপুরের বিধায়ক হিসাবে নয়, মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলে সম্বোধন করেন। তৃণমূলে অনুষ্ঠানমঞ্চে বিধায়কের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে স্মারকও তুলে দেন। বাম নেতা দেবজ্যোতি সিংহের কথায়, ‘‘আমরা তো বার বার বলেছি, পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারই প্রমাণ দিলেন মানিকচক থানার আইসি। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে পুলিশ।’’ মালদহ দক্ষিণ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘‘পুলিশ মানেই তৃণমূল। আর তৃণমূল মানেই পুলিশ প্রশাসন। ওরা একে অপরের পরিপূরক। তাই তৃণমূলের মঞ্চে পুলিশের উপস্থিতি স্বাভাবিক। তৃণমূল নেতাদের খুশি করতে তাঁদের দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন আইসি।’’
যদিও এই বিতর্ক নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিমের যুক্তি, ওটা কোনও দলীয় অনুষ্ঠান ছিল না। তবে পরিচালনায় তৃণমূল নেতৃত্ব ছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘এই রকমের অনুষ্ঠানে যে কেউ-ই আসতে পারেন। মানিকচক থানার আইসি এসে কোনও ভুল করেননি।’’ অন্য দিকে, আইসি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পুলিশ সুপারও প্রদীপকুমার যাদব অবশ্য জানিয়েছেন, তদন্ত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy