ফাইল চিত্র
কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের বৈঠক শেষ হতে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা হয়ে যায়। আধঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জলপাইগুড়িতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরোধী গোষ্ঠী খবর ছড়িয়ে দেয়, জেলা সভাপতির একক কর্তৃত্ব আর বজায় থাকছে না, জেলায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় এ বার থেকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও শামিল করা হয়েছে। তার কয়েক মুহূর্ত বাদে পাল্টা খবর ছড়িয়ে পড়ে, জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ‘সর্তক’ করা হয়েছে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়কে। কলকাতার বৈঠকে কোন নেতা ধমক খেলেন, কাকে সর্তক করা হল আর কার কর্তৃত্ব খর্ব করা হল, এ নিয়ে শনিবারও জোর চর্চা চলল জলপাইগুড়িতে। এবং তা তৃণমূলেরই অন্দরে।
বৈঠকে যোগ দেওয়া নেতাদের অনেকে জানাচ্ছেন, যে ভাবে বৈঠকে খোদ প্রশান্ত কিশোর কয়েক জন ব্লক নেতার নাম করে তাঁদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বলেছেন, তাতে বিস্মিত প্রায় সকলেই। ব্লক কমিটিগুলিতে কারা থাকবেন, তার তালিকা নিয়ে গত শুক্রবারে বৈঠকের প্রথম ভাগে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, মালবাজারের এক ব্লক নেতার নাম আসতেই প্রশান্ত কিশোর বলে দেন, অমুক নেতাকে তো বাইরে দেখাই যায়নি। তা মেনে নেন জেলা নেতারাও। কমিটি থেকে সেই নেতার নাম বাদ যায়। আবার তালিকায় নেই, এমন নামও বৈঠকের মাঝে বলে বসেন পিকে। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “বৈঠকে বসে মনে হচ্ছিল, সব ব্লক নেতা-কর্মীরও ঠিকুজি-কুষ্টি পিকে-র কাছে আছে।”চলতি মাসের শেষের দিকে পিকে জলপাইগুড়িতে আসছেন বলে খবর। তিনি বিভিন্ন ব্লকেও যাবেন। জলপাইগুড়ির ব্লক কমিটিগুলির তালিকা চূড়ান্ত হলেও জেলা কমিটি হয়নি। সূত্রের খবর, জেলা কমিটিতে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা তা জানতে পিকে নিজেই ব্লকে ব্লকে যাবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ব্লক থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হতে পারে। গত শুক্রবারের বৈঠকে সব নেতাকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ইতি পড়েনি জলপাইগুড়িতে।জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “মোহন বসুর বাড়িতে গিয়ে খগেশ্বর রায় জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। সে জন্য রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে সর্তক করেন। জেলা সভাপতির উপরে আস্থা অটুটই রয়েছে।” অন্য দিকে, আর এক জেলা নেতার কথায়, “কাউকে সর্তক করা হয়নি। জেলা সভাপতি একা সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, এ কথাও পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।” জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বা জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় দুজনেই জানিয়েছেন, শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy