প্রতীকী ছবি।
কেএলও প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে নাগাল্যান্ড হয়ে মায়ানমার ঢোকার আগে কুমারগ্রামের পশ্চিম নারারথলির দুই যুবকের গ্রেফতারের ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ মহলে। বৃহস্পতিবারের এই গ্রেফতারের ঘটনা সামনে আসতেই জেলা থেকে নতুন করে কেউ বা কারা মায়ানমারের কেএলওশিবিরে নাম লিখিয়েছেন কি না, বিভিন্ন মহলে সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, বিষয়টিতে নিশ্চিত হতে ধৃত দুই যুবককে জেরা করতে চান জেলার পুলিশ কর্তারা। সেই সঙ্গে কাজের নাম করে রাজ্যের বাইরে যাওয়া কম বয়সী যুবকদের কেউ বিপথে চলে গিয়েছেন কি না বুঝতে এলাকা ধরে খোঁজ নেওয়ার কাজও শুরু হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে জীবন সিংহের একের পর এক ভিডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। যাতে আলাদা রাজ্যের দাবির পাশাপাশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে কেএলও প্রধানকে। পর পর ভিডিয়ো বার্তা সামনে আসায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি ফের একবার নিজেদের গতিবিধি বাড়াতে সাংগঠনকে শক্তিশালী করছে কেএলও? পুলিশ সূত্রের খবর, সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এক সময় কেএলও-র গড় বলে পরিচিত কুমারগ্রামের উত্তর হলদিবাড়ি-সহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। কুমারগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসমের দিকে কারা বেশি যাতায়াত করছেন নজর রাখা হয় সে দিকেও। তার পরও গোপনে পশ্চিম নারারথলির দুই যুবক নাগাল্যান্ড হয়ে মায়ানমারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় চিন্তায় পুলিশ কর্তাদের একাংশ।
কুমারগ্রাম থানা এলাকার মধ্যে পড়লেও উত্তর হলদিবাড়ি থেকে পশ্চিম নারারথলি এলাকার দূরত্ব একে বারে কম নয়। ফলে গোয়েন্দাদের একাংশের মনে এই প্রশ্নও দানা বাঁধছে, সংগঠনে লোক টানতে কি তবে কেএলও প্রধান তাঁর জাল অনেক দূর বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে? পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “শুধু আলিপুরদুয়ার জেলার দুই যুবক তো নয়, কোচবিহারের এক যুবকও তো নাগাল্যান্ডে ধরা পড়েছে। এর থেকেই তো পরিস্কার কেএলও প্রধান সংগঠনে লোক বাড়াতে আবারও ভাল ভাবে জাল বিছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মায়ানমারে ঢোকার আগে জেলার দুই যুবক না হয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে জেলার যুবকদের কেউ বা কারা মায়নমারে কেএলও শিবিরে পৌঁছে যান নি তো? পুলিশের একটিসূত্রের দাবি, সে জন্যই কাজের কথা বলে ভিন্ রাজ্যে যাওয়া জেলার কম বয়সী যুবকরা কোথায় গিয়েছেন, এলাকা ধরে তার খোঁজ নেওয়া শুরু হচ্ছে। বাড়িতে বা এলাকায় যে জায়গার কথা বলে যুবকরা রাজ্য ছাড়ছেন, তাঁরা আদৌ সেখানে রয়েছেন কী না সেই খোঁজ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মায়ানমারে ঢোকার আগে ধরা পড়া দুই যুবককেও এ নিয়ে জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy