প্রতীকী ছবি।
দফায় দফায় বৈঠকের পরেও নিষ্ফলা মালদহের দুই পুরসভায় তৃণমূলের জট। তাই জট কাটাতে দুই পুরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর এবং পুরপ্রধানদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ, সোমবার কলকাতায় সেই বৈঠকে পুরাতন মালদহের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরেরা গেলেও যাচ্ছেন না ইংরেজবাজার পুরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের একাংশ। এর কারণ হিসেবে পারিবারিক সমস্যা এবং অসুস্থতার কথা দলকে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে কলকাতার বৈঠকে দুই পুরসভারই জট কাটবে বলে আশাবাদী তৃণমূল শিবির।
ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভায় শাসক দলের পুরপ্রধানদের বিরুদ্ধে দলেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর অনাস্থা আনায় ডামাডোল তৈরি হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। বুধবার ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই ১৫ জন কাউন্সিলর। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, দুলাল সরকার, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং আশিস কুণ্ডুর মতো নেতারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষুব্ধ এবং পুরপ্রধানকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর এবং দলের জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। ইংরেজবাজারের জট কাটতে না কাটতেই অনাস্থা আসে তৃণমূলের দখলে থাকা পুরাতন মালদহ পুরসভাতেও। সেখানেও দলের ১৯ কাউন্সিলরের মধ্যে পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ১৪ জন। সেই তালিকায় আছেন উপ-পুরপ্রধান চন্দনা হালদারও।
শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দুই পুরসভার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর এবং পুরপ্রধানদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন মৌসম ও রব্বানি। এমনকি, ইংরেজবাজারের কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক এক করে কথাও বলেন তাঁরা। তার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেছেন মৌসম ও রব্বানি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার কলকাতার বৈঠকে হাজির থাকবেন সুব্রত বক্সী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী তথা জেলার দলের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী, মালদহের দুই পর্যবেক্ষক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, গোলাম রব্বানি এবং মৌসম। সেই বৈঠকেই সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতারা।
রবিবারই সড়ক পথে পুরাতন মালদহের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা রওয়ানা দেন কলকাতায়। তবে ইংরেজবাজারের বিক্ষুব্ধদের একাংশ বৈঠকে যাচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ, নরেন্দ্রনাথ, সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ দাস। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ বলেন, “আমার এখন চিকিৎসা চলছে।” স্ত্রী অসুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রনাথ। দুলাল বলেন, “আমি বৈঠকে থাকছি। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে কলকাতা যেতে হওয়ায় টিকিটের সমস্যা হচ্ছে অনেকের।” বৈঠকে যাচ্ছেন দুই পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন এবং কার্তিক। তাঁরা বলেন, “দলের নির্দেশ মতো কলকাতায় যাচ্ছি।” মৌসম বলেন, “জেলায় প্রত্যেকের বক্তব্য শোনা হয়েছে। সে সবই রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। আশা করছি পুরসভার জট মিটে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy