ঈশাংশুর কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় ও পড়শিরা। নিজস্ব ছবি।
দিন দুয়েক আগেই ছেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে বাড়িতে। তার পর শুক্রবার থেকে কার্যত থমথমেই ছিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ড। রাজস্থানের কোটা শহরের পুলিশের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন বাবা। রবিবার তিনি ছেলের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন।
রবিবার সকাল থেকে ধূপগুড়ির ভট্টাচার্য পরিবারে পড়শিদের আনাগোনা লেগেই ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। দুপুর নাগাদ ওই বাড়ির ছেলে ঈশাংশুর কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় ও পড়শিরা। স্থানীয় বাসিন্দা অনিরুদ্ধ দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ছেলেমেয়েদের বাইরে পড়তে পাঠালেও কোনও নিরাপত্তা নেই।’’
নিটের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটায় গিয়েছিলেন ঈশাংশু। পরিবার জানিয়েছে, সেখানে ছাত্রাবাসের ছ’তলা থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ওই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। তাতে দেখা গিয়েছে, জুতো পরতে গিয়ে পিছনের একটি জালে ঠেস দিচ্ছেন ঈশাংশু। কিন্তু জালের জানলাটি যে খোলা আছে, তা খেয়াল করেননি। সেখান থেকেই পড়ে যান ওই পড়ুয়া। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরেই বাবা দেবজিৎ ভট্টাচার্যকে খবর দেওয়া হয়। দেবজিৎ ধূপগুড়ির এক জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবারই তিনি ভিন্ রাজ্যে পৌঁছে যান। ছেলের দেহ নিয়ে ফিরে এলেন রবিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy