মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড দশা জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অংশের। ইতিমধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর পাওয়া মাত্রই প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমব্যথী মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, নির্বাচনী আদর্শ বিধি অনুসরণ করেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সরকার।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বেশ কিছু এলাকা। মৃত পাঁচ জনের মধ্যে দু’জনের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের গোশালা মোড় এবং সেন পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) মুখ্যমন্ত্রী মমতা লেখেন, ‘‘এটা জেনে দুঃখ পেলাম যে হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় কিছু বিপর্যয় ঘটেছে। যার মধ্যে মানুষের প্রাণহানি, আহত হওয়া, বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি, গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়া ইত্যাদি রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেলা এবং ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে। চলছে ত্রাণ সরবারহ। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
Sad to know that sudden heavy rainfall and stormy winds brought disasters today afternoon in some Jalpaiguri-Mainaguri areas, with loss of human lives, injuries, house damages, uprooting of trees and electricity poles etc.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 31, 2024
District and block administration, police, DMG and QRT…
সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘‘জেলা প্রশাসন নিয়মানুযায়ী এবং লোকসভা ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি অনুসরণ করে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে।’’ মমতা লেখেন, ‘‘আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে আছি এবং আমি নিশ্চিত যে জেলা প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ প্রদানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সোমবার তিনি জলপাইগুড়ি যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, আহতদের দেখতে লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে গিয়েছেন। তিনি জানান, দু’জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। দ্রুত উদ্ধারকাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy