আশ্বস্ত: মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য পাওয়ার
মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত জন্মান্ধ ঝুমা দাস। বাড়ি আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিপড়া গ্রামে। ঝুমার দু’বছরের মেয়ে সঞ্চিতাও জন্মান্ধ। চিকিৎসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও কোথাও কোনও সাহায্য না পেয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে সরাসরি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে যান তিনি। তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জেনে দু’জনের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝুমার হাতে নগদ ২০ হাজার টাকাও তুলে দেন। এ ছাড়া, ওই বধূ এবং তাঁর সন্তানের কলকাতায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তঁাদের ১০ দিন কলকাতায় রেখে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
সামনেই ৮ জানুয়ারি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুটির কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হতে হবে। দু’বছর পর আরেকটি চোখেও কর্নিয়া স্থাপন হবে। তাঁদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
ঝুমাদেবী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে খুব ভাল মানুষ, সেটা তাঁর ভাষণ শুনে বুঝেছি। ভাবতাম একবার তাঁর কাছে পৌছতে পারলে আমার এবং আমার সন্তানের অন্ধকার জীবনে আলো পরশ আসতে পারে। সেই বিশ্বাস নিয়ে কলকাতা ছুটে গিয়েছিলাম।’’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে ভাবতে পারেননি। ঝুমা জানান, এক বছর আগে কলকাতায় মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। থাকা খাওয়ার খরচ জোগাড় করতে না পেরে বাড়িতে ফিরে আসেন। কিছু টাকা জোগাড় করে এক বছর পর আবার কলকাতায় যান। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় রাস্তায় বসে কাঁদতে থাকি। আমায় দেখে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে সাহায্য করেন। সব কথা খুলে বলার পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও যাই। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সব ব্যবস্থা করে দেন।’’
কয়েক দিন আগে ঝুমা বাড়িতে ফিরেছেন। সোমবার আবার কলকাতা যাবেন। ঝুমাকে আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস আড়াই হাজার টাকা তুলে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy