প্রতীকী ছবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মুখেই কোচবিহারে তৃণমূল ও বিজেপি’র দফায় দফায় সংঘর্ষে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে।
দিন দুয়েক আগে তৃণমূলের এক কর্মী মৃত্যুর অভিযোগের পরেও উত্তেজনা কমেনি। বোমাবাজি থেকে শুরু করে পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছে। সেই সঙ্গেই বাড়ছে জখমের সংখ্যা। সব মিলিয়ে গত চারদিনে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে পাতলাখাওয়ার বাসিন্দা মজিরুদ্দিন সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মীর। শনিবার তুফানগঞ্জের শালবাড়ি’র এক বাসিন্দা প্রিতাপ বর্মণ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছে। উল্টোদিকে, শনিবারই দেওচড়াইয়ে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই অবস্থায় কোচবিহারের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর দফায় দফায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাতেও অভিযুক্তদের বড় অংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “টানা নজরদারি শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গন্ডগোলে অভিযুক্তদের অনেককেই গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে শান্ত থাকে সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।” বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, পুলিশ পক্ষপাত করছে। তাদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ অবশ্য ওই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছে।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভরাডুবির পরে এ বারেই প্রথম সফর করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ তথা কোচবিহারে শান্তি ফিরিয়ে এনে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে কোচবিহার থেকে কার্য়ত তৃণমূল উধাও হয়ে গিয়েছিল। মাস চারেক পরে ফের ধীরে ধীরে সংগঠিত হতে শুরু করে তৃণমূল।
এই অবস্থায় কোচবিহারে শুরু হয়েছে বিজেপি’র সংকল্প যাত্রা। দুই পক্ষই নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব থেকে বড় অভিযোগ, গত পাচদিনে অন্তত পাঁচবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। দুইপক্ষের পাঁচটি পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সবক্ষেত্রেই একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলছে। প্রচুর পরিমাণ বোমা কারা সরবরাহ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারা এর পেছনে যুক্ত, তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি দুষ্কৃতীদের নিয়ে ঘুরছে। নানা জায়গায় তাদের দিয়েই হামলা করাচ্ছে। আমরা ওই দুষ্কৃতীদের বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছি।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূলে এখন দুষ্কৃতী ছাড়া কেউ নেই। পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করাতেই গণ্ডগোল বাড়ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy